এই মুহূর্তে হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের খেলাধুলার অন্যতম বড় আইকন। তাঁকে ঘিরে বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণের দারুণ এক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে—দুই জায়গাতেই হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। জাতীয় দলে খেলতে বিভিন্ন সময় দেশে আসার পর ফুটবলপ্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্তও হয়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে হামজা বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। অপেক্ষায় আছেন লেস্টার সিটির হয়ে নতুন মৌসুম শুরু করার। এর মধ্যে লেস্টারের অ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা ও আতিথেয়তা নিয়ে কথা বলেছেন হামজা।

ফুটবলে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও ভালোবাসায় অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন হামজা। পাশাপাশি নিজের মনটাও বাংলাদেশে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন লেস্টারের এ ফুটবলার।

আরও পড়ুনসেদিন মন খারাপ করেই বাসায় ফিরেছিলেন হামজার মা–বাবা৩১ মে ২০২৫

বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথা জানাতে গিয়ে হামজা বলেন, ‘প্রথমবার যখন আমরা বাংলাদেশে যাই, তখন আমি আমার গ্রামে গিয়েছিলাম। সেটা একেবারেই গ্রামীণ জায়গা। আমার শৈশবের বড় একটা অংশজুড়ে ছিল সেই গ্রাম।’

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম গোলের পর হামজা চৌধুরী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ