কুমিল্লার ৪টি আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন
Published: 30th, July 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ২৬১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
নতুন খসড়ায় কুমিল্লা জেলার সংসদীয় মানচিত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-১০ ও কুমিল্লা-১১ আসনে। বাকি সাতটি আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের খসড়া অনুযায়ী, কুমিল্লা-১ আসনে আগে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে নতুন সীমানা অনুযায়ী এখন দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে কুমিল্লা-১ আসন। তিতাস উপজেলাকে সরিয়ে সেখানে যুক্ত করা হয়েছে মেঘনা।
আরো পড়ুন:
সংসদ ভবনে প্রযুক্তির ছায়ায় নয়া অধ্যায়
সাত মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর
কুমিল্লা-২ আসনের পুরনো গঠন ছিল মেঘনা ও তিতাস উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে। কিন্তু খসড়া অনুযায়ী, সেখানে এখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হোমনা ও তিতাস উপজেলা। ফলে মেঘনা স্থান পরিবর্তন করে কুমিল্লা-১-এ স্থান পেয়েছে, আর হোমনা নতুন করে যুক্ত হয়েছে কুমিল্লা-২ তে।
কুমিল্লা-৯ আসন গঠিত হয়েছে লাকসাম ও লালমাই উপজেলা নিয়ে, যা পূর্বে ছিল লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা।
কুমিল্লা-১০ আসনে এসেছে সবচেয়ে বড় রদবদল। আগের কাঠামোতে সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল এই আসন। কিন্তু খসড়ায় সদর দক্ষিণ ও লালমাই বাদ পড়ে এখানে যুক্ত করা হয়েছে মনোহরগঞ্জ উপজেলা। ফলে নতুনভাবে কুমিল্লা-১০ এখন গঠিত হয়েছে নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে।
কুমিল্লা-১১ আসনেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এটি ছিল একমাত্র চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে। খসড়া অনুযায়ী এখন এতে যুক্ত করা হয়েছে সদর দক্ষিণ উপজেলা। ফলে কুমিল্লা-১১ গঠিত হয়েছে চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে।
বাকি ৭টি আসনের সীমানায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। কুমিল্লা-৩ আসনে বরাবরের মতোই রয়েছে মুরাদনগর উপজেলা। কুমিল্লা-৪ আসনও অপরিবর্তিত থেকে দেবিদ্বার উপজেলা নিয়েই গঠিত হয়েছে। কুমিল্লা-৫ আসন আগের মতোই গঠিত হয়েছে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নিয়ে। কুমিল্লা-৬ আসন গঠিত হয়েছে আদর্শ সদর উপজেলা, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে, যা পূর্বেও একই ছিল। কুমিল্লা-৭ আসনের সীমা অপরিবর্তিত থেকে কেবল চান্দিনা উপজেলাকেই অন্তর্ভুক্ত করেছে। কুমিল্লা-৮ আসন গঠিত হয়েছে বরুড়া উপজেলা নিয়েই, যার সীমানায় কোনো হেরফের হয়নি।
এই সীমানা পুনর্নির্ধারণে ভোটার সংখ্যা, ভৌগলিক সংযোগ এবং প্রশাসনিক সীমারেখা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে এই সীমানা নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল আপত্তি জানাতে চান, তাহলে ১০ আগস্ট পর্যন্ত লিখিতভাবে আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই সীমানা পুনর্নির্ধারণকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষ করে কুমিল্লার মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল জেলায় আসন পুনর্গঠনের ফলে নির্বাচনী কৌশল, দলীয় অবস্থান ও প্রার্থী মনোনয়নেও আসতে পারে দৃশ্যমান প্রভাব।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৩৯টি আসনে আংশিক ও কিছু ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়ার বিরুদ্ধে কেউ আপত্তি জানাতে চাইলে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ থাকবে। আপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সীমানা ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ত স উপজ ল আসন র স ম ন ক ত কর অন য য় ১ আসন
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল