প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম আর নেই
Published: 31st, July 2025 GMT
প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় তিনি রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, জামাতাসহ অনেক আত্মীয় ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মাগরিবের পর খিলগাঁও শাহি মসজিদে জানাজা শেষে তালতলা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য আবদুল হালিম অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে সততা, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন সবার শ্রদ্ধাভাজন। তিনি ১৯৪০ সালের ১ মার্চ পটুয়াখালীর আমতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়েছিল তৎকালীন সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে। পরে তিনি দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে আবদুল হালিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল