কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল বোটলনোজ প্রজাতির মৃত ডলফিন
Published: 1st, August 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে বোটলনোজ প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। আজ শুক্রবার দুপুরে সৈকতের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় জোয়ারের পানিতে মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির চামড়া উঠে গেছে। শরীরের কিছু অংশ পচে গেছে। লেজ ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিন থেকে চার দিন আগে ডলফিনটি মারা গেছে বলে ধারণা তাঁদের।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জেলেরা জানান, দুপুরের জোয়ারের সময় সমুদ্র কিছুটা উত্তাল ছিল। এ সময় জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে মাঝিবাড়ি এলাকায় আটকা পড়ে।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো.
পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষক্রিয়ার চিহ্ন মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে ট্রলিং জেলেদের অসাবধানতা ও সমুদ্রে প্লাস্টিক বৃদ্ধির কারণে ডলফিনটি মারা গেছে।’
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতসহ স্থানীয় জেলেদের সচেতনতায় কাজ করছে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি। দলনেতা রুমান ইমতিয়াজ বলেন, সৈকত এলাকায় ডলফিন রক্ষায় তাঁরা কাজ করছেন। আগের তুলনায় ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এখন আবার কিছুদিন ধরে নিয়মিত মৃত ডলফিন ভেসে আসছে। তাঁরা চান, সরকার ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা ডলফিনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করুক।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত ডলফ ন ডলফ ন র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব
ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”
শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।
আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী