পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে বোটলনোজ প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। আজ শুক্রবার দুপুরে সৈকতের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় জোয়ারের পানিতে মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির চামড়া উঠে গেছে। শরীরের কিছু অংশ পচে গেছে। লেজ ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিন থেকে চার দিন আগে ডলফিনটি মারা গেছে বলে ধারণা তাঁদের।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জেলেরা জানান, দুপুরের জোয়ারের সময় সমুদ্র কিছুটা উত্তাল ছিল। এ সময় জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে মাঝিবাড়ি এলাকায় আটকা পড়ে।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো.

মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার পরিছন্নতাকর্মীদের নিয়ে ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষক্রিয়ার চিহ্ন মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে ট্রলিং জেলেদের অসাবধানতা ও সমুদ্রে প্লাস্টিক বৃদ্ধির কারণে ডলফিনটি মারা গেছে।’

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতসহ স্থানীয় জেলেদের সচেতনতায় কাজ করছে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি। দলনেতা রুমান ইমতিয়াজ বলেন, সৈকত এলাকায় ডলফিন রক্ষায় তাঁরা কাজ করছেন। আগের তুলনায় ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এখন আবার কিছুদিন ধরে নিয়মিত মৃত ডলফিন ভেসে আসছে। তাঁরা চান, সরকার ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা ডলফিনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করুক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ত ডলফ ন ডলফ ন র ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?

একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

চিকিৎসকদের মতে,  ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’

নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।

আরো পড়ুন:

প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়। 
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।

নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ