ছাদ ধসের ঘটনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির তদন্ত দল
Published: 3rd, August 2025 GMT
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ১০ তলা আবাসিক হলের ছাদ ধস তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিরা।
রবিবার (৩ আগস্ট) তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ও কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) তানভির মোরশেদ, অতিরিক্ত পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মোশারফ হোসেন।
আরো পড়ুন:
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ ধসের ঘটনায় ইউজিসির তদন্ত কমিটি
রাবির কলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত
পরিদর্শনে তারা নির্মাণাধীন অংশের খুঁটির সংখ্যা ও দূরত্ব, নকশা অনুযায়ী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি ছবি, ভিডিও ধারণসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি সংগ্রহ করেন।
পরিদর্শন শেষে মাকসুদুর রহমান বলেন, “নির্মাণে খুঁটির যথাযথ ব্যবহার হয়নি এবং বাঁশের ব্যবহার নীতিমালার বাইরে। ঢালাইয়ের আগে চেকলিস্ট বা ক্লিয়ারেন্সেরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো যাচাই করে পরামর্শক, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং অনুমোদন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে দায়ীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউজিসি।”
সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, “রডের বিন্যাস নকশা অনুযায়ী হলেও প্রপিং, স্টেজিং ও স্ক্যাফোল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নকশা মানা হয়নি। কিছু জায়গায় বেআইনিভাবে বাঁশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং ডেসিংও ছিল অপর্যাপ্ত। নিরাপত্তা ও অনুমোদন সংক্রান্ত কোনো তথ্য হাতে আসেনি।”
তদন্ত কমিটির প্রধান আরো বলেন, “শ্রমিক নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
গত ৩১ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের পূর্ব পাশে নির্মাণাধীন ছাত্র হলের দ্বিতীয় তলার পার্কিং এক্সটেনশনের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ১২ জন শ্রমিক আহত হন।
ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ দ ধস ব যবহ তদন ত ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাদ
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে। বাকি চারজন সরাসরি জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন না। আজ রোববার রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে, তাঁরা হলেন ভোলার শাহজাহান (গেজেট নম্বর ৬১১), শরীয়তপুরের বাঁধন (গেজেট নম্বর ৮৩৬), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪) এবং সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান (গেজেট নম্বর ২২৯) তালুকদার ছিলেন পুলিশ সদস্য এবং তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫) জেল পলাতক আসামি ছিলেন এবং তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে। বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং পরে সেখানেই মারা যান। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীতে।
তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮) পারিবারিক দ্বন্দ্বে মারা যান এবং এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
একটি স্বচ্ছ তালিকা চান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় আরও সংশোধন হবে। প্রথম দিকে কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এখন তা সংশোধন করা হচ্ছে।
সরকারি গেজেট অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪। আজ ৮ জন বাদ দেওয়ার পর নতুন গেজেট অনুযায়ী শহীদের সংখ্যা ৮৩৬।