গাজীপুরের শ্রীপুরে দাফনের দুই মাস ২৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মফিজ উদ্দিন (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মফিজ উদ্দিন ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে সকালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ির পাশে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গিয়ে অচেতন হন মফিজ উদ্দিন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

কালীগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের কারাদণ্ড

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

মৃত্যুর পর কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করা হয় মফিজ উদ্দিনের। এ ঘটনায় মৃতের পুত্রবধূ পারভিন আক্তার গাজীপুর আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে আদালত কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

মফিজ উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন বলেন, “আদালতের নির্দেশে বাবার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।”

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কবর থ ক তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাদ

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে। বাকি চারজন সরাসরি জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন না। আজ রোববার রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যে চারজনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে, তাঁরা হলেন ভোলার শাহজাহান (গেজেট নম্বর ৬১১), শরীয়তপুরের বাঁধন (গেজেট নম্বর ৮৩৬), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪) এবং সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬)।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান (গেজেট নম্বর ২২৯) তালুকদার ছিলেন পুলিশ সদস্য এবং তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫) জেল পলাতক আসামি ছিলেন এবং তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে। বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং পরে সেখানেই মারা যান। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীতে।

তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮) পারিবারিক দ্বন্দ্বে মারা যান এবং এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

একটি স্বচ্ছ তালিকা চান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় আরও সংশোধন হবে। প্রথম দিকে কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এখন তা সংশোধন করা হচ্ছে।

সরকারি গেজেট অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪। আজ ৮ জন বাদ দেওয়ার পর নতুন গেজেট অনুযায়ী শহীদের সংখ্যা ৮৩৬।

সম্পর্কিত নিবন্ধ