Prothomalo:
2025-10-03@05:38:54 GMT

তিন কবিতা

Published: 5th, August 2025 GMT

সোহরাব হাসান

অজ্ঞাতনামা শহীদের জবানবন্দি

জুলাইয়ের মিছিলে তোমাগো লগে আমিও ছিলাম

অদ্য আমার ঠিকানা বেওয়ারিশ লাশের কাতারে।

হেই দিন স্লোগানে মাতাল মিছিলটি মহাসড়কে

বাঁক লইতেই ঠা ঠা গুলির আওয়াজ; আর মিছিলের

শেষ ভাগে থাকা রোগাপটকা যেই ছেলেটি গুলি খাইল, সে আমি।

পাশে থাকা দুইজন রক্তভেজা শরীর হাসপাতালে লইয়া গেলে

ডাক্তার জানতে চাইলেন, নাম কী?

কেউ তো আমারে চেনে না, নাম বলবে কী!

অতঃপর আঞ্জুমান মুফিদুল আমার দাফন–কাফনের ব্যবস্থা করে

নতুন কাপড়, সাবান–লোবানের আয়োজনে ঘাটতি ছিল না

সেই থেকে অজ্ঞাতনামা শহীদের তালিকায় আমি আছি।

এই যে মাসের পর মাস ধইরা সংবিধান, সংস্কার আর

গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ লইয়া বিস্তর বাহাস হইতেছে

একের পর এক কাণ্ডকারখানা ঘটিতেছে দেশে

কবরখানার অন্ধকারেও আমি সব টের পাই।

আমার বাপ–মা জানেন না, তাঁদের সন্তানের নাম

শহীদের মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় উঠেছে; তাঁরা জানেন

তাঁদের ছাওয়াল ঢাকায় যাইয়া চিরতরে হারাইয়া গেছে

কেউ জিজ্ঞাস করলেন মা কান্দে, বাবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন।

কামরুজ্জামান কামু

আবু সাঈদ

আবু সাঈদের বুক থেকে
ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্ত
ছিটকে পড়েছে দেশ থেকে
উপমহাদেশে— 


কোলকাতায়—আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচলে, নাগাল্যান্ডে, মেঘালয়, মিজোরাম—পাকিস্তানে—

আহা!

আর জন্মে আমি
আবু সাঈদের মায়ের কোলে
জন্ম নিতে চাই!

২২ আগস্ট ২০২৪

রোজেন হাসান

ফেনী

পানির মধ্যে ঘুরি

লাশ নিয়ে

কোথায় কবর

মাটি কোথায়?

চারিদিকে পানি আর পানি

কূল নাই যেন দরিয়া

এত পানি রে ভাই 

তোরে গোর দেওয়ার মাটি নাই

পানির মধ্যে ঘুরি

লাশ নিয়ে

মাটি কোথায়?

ভাইকে দিতে হবে কবর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ