চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল ও এ এফ রহমান হলের ক্যানটিনে পচা ও বাসি খাবার বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এই অভিযোগে আজ শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা ওই ক্যানটিনে তালা লাগিয়ে দেন। একই অভিযোগে ক্যানটিনের পাশের আরেকটি খাবারের দোকানও বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

বেলা আড়াইটার দিকে ক্যানটিনে তালা দেওয়ার পর সেখানে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক মোরশেদুল হক, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী, নুরুল হামিদ ক্যানটিন ও খাবারের দোকান পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যানটিনের ফ্রিজে বাসি খাবার দেখতে পান তাঁরা। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি ওই ক্যানটিন ও পাশের খাবারের দোকানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীদের দুই হলের ডাইনিংয়ে গিয়ে রাতে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির কাছে ১৩টি দাবি তুলে ধরেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় এ এফ রহমান হলের ডাইনিংয়ে আবাসিক শিক্ষক মোরশেদুল হককে নিয়ে অভিযান চালান। অভিযানে ডাইনিংয়ের স্টোররুম ও ফ্রিজ থেকে বেশ কিছু পচা ডিম উদ্ধার করেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশাপাশি অবস্থিত আলাওল ও এ এফ রহমান হলের একটিই যৌথ ক্যানটিন রয়েছে। দুই হল ও হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা সেখানে খাবার খান। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওই ক্যানটিন ও আশপাশের দোকানের খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।

রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্যানটিনের কর্মচারীদের পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। পচা ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়। আজ সকালেও তাঁকে নোংরা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করলে ক্যানটিনের লোকজন বলেন, ‘খেলে খান, না খেলে চলে যান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ডাইনিং থেকে পচা ডিম উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেল চারটার দিকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক য নট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বেনিনে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন: সরকার

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে গত রোববার ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকার সোমবার মন্ত্রিপরিষদের এক জরুরি বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছে।

বেনিনের সরকার বলেছে, রোববার ভোরে দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনের সরকারি বাসভবনে তাঁর নিরাপত্তায় দায়িত্বরত বিশেষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িতদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্টের প্রধান সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল বারতিন বাদার স্ত্রী। এর আগে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িতদের অন্য একটি হামলায় বারতিন বাদাও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের মধ্যে কয়েকজন এখনো পলাতক। এ ঘটনায় জড়িত এক ডজনের বেশি বিদ্রোহী সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঅভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, শাস্তি পেতে হবে: বেনিনের প্রেসিডেন্ট তালোন১৯ ঘণ্টা আগে

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ছোট একটি সেনা দল অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করেছিল। তারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা শুরুতে কিছু জেনারেল ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে অপহরণ করে এবং তাঁদের অস্ত্র কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনবেনিনে প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের দাবি একদল সেনার, সরকারের অস্বীকার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ