বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে মাছ ধরার নৌযান ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আট জেলের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা তিনটার সময় ১৫ নম্বর ঘাটের বাইরে বহির্নোঙর থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্য একটি নৌযানের ধাক্কায় মাছ ধরার নৌকাটি ডুবে যায়। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।

ডুবে যাওয়া নৌযানটিতে ১৯ জেলে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ১১ জনকে অদূরে থাকা একটি নৌকা উদ্ধার করে। দুজনের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো ছয়জন নিখোঁজ। নিখোঁজ জেলেদের সবাই নোয়াখালীর বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন আবুল বাশার, জামাল উদ্দিন, মো.

ফারুক ও মো. ইদ্রিস।

নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আরিফ বলেন, লাশ উদ্ধার হলেও এখনো থানায় আনা হয়নি। সুরতহাল শেষে থানায় আনার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনে যুবদল নেতা রনির উদ্যোগে খাল খনন

ফতুল্লা এলাকায় জলাবদ্ধতা এখন নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লালপুর, পৌষা পুকুরপাড়, টাগারপাড়, পুলিশ লাইন, ইসদাইর, বুড়ির দোকান, সস্তাপুর, মাসদাইর, শিয়াচর লালখা, ও কুতুবপুরের প্রায় গোটা এলাকা কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে।

অলি-গলিতে এমন দৃশ্য, যেন বড় ধরনের বন্যা চলছে। কেউ কাজে যাচ্ছেন ভ্যানে, কেউবা নৌকা বেয়ে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে লালপুর ও আলামিন বাগ টাগারপাড়,ইসদাইর সহনআশোশ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন। তাদের একটাই দাবি, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান। 

প্রসঙ্গত, ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের বাইরে রয়ে গেছে বিশাল অংশ, আর খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সংবাদে  নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নিজে এলাকায় যান। তিনি সরেজমিনে খালগুলোর বেহাল অবস্থা দেখে নিজস্ব উদ্যোগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেকু  দিয়ে খাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছেন। রোববার (১০ আগস্ট) থেকে কাজ শুরু হবে। তার এই উদ্যোগে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্তত কিছুটা হলেও পানি নিষ্কাশনের পথ খুলবে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান মিলবে।

এ সময় মশিউর রহমান রনি বলেন, বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং শামীম ওসমান-এর গাফিলতির কারণে ফতুল্লার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই মানুষের কষ্ট লাঘবে আমি নিজেই জলাবন্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, খালটি খনন সম্পন্ন হলে এ বছর আর জলাবদ্ধতা হবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ