সকাল থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীদের পদচারণে মুখর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেট বল মাঠ যেন রূপ নিয়েছে এক ক্ষুদ্র কর্মবাজারে—চারদিকে রঙিন ব্যানার, সারিবদ্ধ স্টল, করপোরেট দুনিয়ার অভিজ্ঞ মুখ আর নতুন স্বপ্নে ভরপুর শত শত শিক্ষার্থী। কারও হাতে সযত্নে গোছানো সিভি, কারও ব্যাগে পোর্টফোলিও, আবার কারও চোখে ভরসা আর আশার ঝিলিক। কেউ লাইন দিয়ে অপেক্ষায়, কেউ সরাসরি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলছেন—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত চাকরি মেলা।

আজ শনিবার দুই দিনের ক্যারিয়ার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সকাল নয়টায় শুরু হয় দিনব্যাপী এই চাকরি মেলা। ওয়ালটন, প্রাণ, বিএসআরএম, কে ওয়াই স্টিল, ইস্পাহানি, নাভানাসহ ২০টির বেশি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের স্টলে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ সিভি জমা দিচ্ছেন, কেউ তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকারে অংশ নিচ্ছেন, আবার কেউ শিল্পক্ষেত্রের প্রযুক্তি ও দক্ষতা নিয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করছেন। অনলাইন ও সরাসরি মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এ আয়োজনে।

আরও পড়ুনদুর্নীতি দমন কমিশনে বড় নিয়োগ, নতুন নেবে ১০১ পদে০৭ আগস্ট ২০২৫সিভি হাতে চাকরি মেলায় শিক্ষার্থী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনে যুবদল নেতা রনির উদ্যোগে খাল খনন

ফতুল্লা এলাকায় জলাবদ্ধতা এখন নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লালপুর, পৌষা পুকুরপাড়, টাগারপাড়, পুলিশ লাইন, ইসদাইর, বুড়ির দোকান, সস্তাপুর, মাসদাইর, শিয়াচর লালখা, ও কুতুবপুরের প্রায় গোটা এলাকা কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে।

অলি-গলিতে এমন দৃশ্য, যেন বড় ধরনের বন্যা চলছে। কেউ কাজে যাচ্ছেন ভ্যানে, কেউবা নৌকা বেয়ে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে লালপুর ও আলামিন বাগ টাগারপাড়,ইসদাইর সহনআশোশ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন। তাদের একটাই দাবি, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান। 

প্রসঙ্গত, ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের বাইরে রয়ে গেছে বিশাল অংশ, আর খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সংবাদে  নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নিজে এলাকায় যান। তিনি সরেজমিনে খালগুলোর বেহাল অবস্থা দেখে নিজস্ব উদ্যোগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেকু  দিয়ে খাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছেন। রোববার (১০ আগস্ট) থেকে কাজ শুরু হবে। তার এই উদ্যোগে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্তত কিছুটা হলেও পানি নিষ্কাশনের পথ খুলবে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান মিলবে।

এ সময় মশিউর রহমান রনি বলেন, বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং শামীম ওসমান-এর গাফিলতির কারণে ফতুল্লার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই মানুষের কষ্ট লাঘবে আমি নিজেই জলাবন্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, খালটি খনন সম্পন্ন হলে এ বছর আর জলাবদ্ধতা হবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ