‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

‎শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে বেরোবি প্রক্টর ফেরদৌস রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নবীনদের ক্যাম্পাসে আগমনকে কেন্দ্র করে র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে কেউ জড়িত প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে জানিয়েছেন প্রক্টর ফেরদৌস রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‎র‌্যাগিং নয়, সহানুভূতি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই হোক বেরোবিয়ানদের পরিচয়। র‌্যাগিং একটি মানসিক ব্যাধি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

‎র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান বলেন, “র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে গত বছরের ন্যায় এবারো ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির টহল জোরদার করা হবে। আর র‌্যাগিং প্রতিরোধের জন্য বিশেষ একটা টিম গঠন করা হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে কেউ জড়িত প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শওকাত আলী বলেন, “র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ র‌্যাগিং করলে শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

‎তিনি আরো বলেন, “গতবারের মতো এবারো আমরা আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে অভিযোগ বক্স রাখব। এখানে যে কেউ পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জানাতে পারবে। এছাড়া তাদের প্রক্টর অফিসের নাম্বার দেওয়া হবে। যাতে তারা সবসময় যোগাযোগ রাখে। আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা এ ধরনের কালচার পুনরায় চালু হতে দেব না।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় দুদকের গণশুনানি চলাকালে মঞ্চে জুতা নিক্ষেপ

বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানি চলাকালে মঞ্চ লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছেন এক ব্যক্তি। তবে, জুতাটি মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জেলার টিটু মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তির নাম ছাকোয়াত হোসেন মণ্ডল।

কী কারণে জুতা মেরেছেন? জানতে চাইলে ছাকোয়াত হোসেন বলেন, ‘‘আজকের গণশুনানিতে আমার অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, কোনোভাবে অভিযোগ জানাতে পারছিলাম না। তাই জুতা মেরেছি, যাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কথা বলার সুযোগ পাই। এতে আমার যে শাস্তি হয় হবে। কথা বলার সুযোগ না পেলেও জুতা মারতে পেরেছি এটা ভেবে তৃপ্তি পাব। এমন চিন্তা থেকে জুতা মেরেছি।’’

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে ২ কলেজে দুদকের অভিযান 

সাবেক মন্ত্রী জাবেদ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

ছাকোয়াত হোসেন

কী অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি পেশায় একজন মৎস্যচাষি। বিভিন্ন জায়গায় পুকুর এবং বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। ২০১২ সালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গারামারা গ্রামের তিনটি বিল ও তিনটি পুকুর বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা লিজ নিয়ে এবং ২১ লাখ টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করি। এরই মধ্যে, বগুড়া-১ আসনের তৎকালীন এমপি আব্দুল মান্নান স্থানীয় শালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির ভোটপ্রথা তুলে দিয়ে তার শ্যালক লিটনকে সভাপতি বানাতে চান। আমি এর প্রতিবাদ করে বলেছিলাম, শালিকা গ্রাম থেকে কেউ স্কুলের সভাপতি হবেন, আপনার বা আপনার শ্যালকের সভাপতি হতে চাওয়াটা আমাদের কাছে ভালো লাগছে না। এটাই ছিল আমার অপরাধ। পরে এমপির শ্যালক ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের দিয়ে ২০১৫ সালের মে মাসের ১৭ তারিখে আমার মাছের খামার দখল করে নেয়। এরপর থানা, জেলা, এসপি, ডিসি, ঢাকার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু, কোনো কাজ হয়নি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু, কোথাও বিচার পাইনি। সব জায়গায় থেকে অসহযোগিতা পেয়েছি। চেয়েছিলাম, আজকের গণশুনানিতে অভিযোগ জানাব। সেই সুযোগও পাচ্ছিলাম না। তাই, আমার ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জুতা নিক্ষেপের পরে দুদকের লোকজন আমাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেয়। পরে আবার অনুষ্ঠানে বসতে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, মঞ্চে ডেকে অভিযোগ শোনা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আমাকে মঞ্চে ডাকেনি।’’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একুশে টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘ছাকোয়াত হোসেন নামের ওই ব্যক্তি আমার পাশেই বসে ছিলেন। হঠাৎ তিনি মঞ্চ লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘‘জুতা নিক্ষেপের ঘটনার বিষয়ে কিছু শুনিনি। ওই ব্যক্তি হয়তো সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করেননি, তাই তার অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত নই।’’

ঢাকা/এনাম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ