কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দ্বিতীয় সমাবর্তন চলতি বছরের নভেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও আচার্যের কাছ থেকে এখনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। ফলে নভেম্বরে সমাবর্তনের আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী মুঠফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ২ দশক হয়ে গেলেও সমাবর্তন হয়েছে মাত্র একবার। দ্বিতীয় সমাবর্তনকে ঘিরে এ নিয়ে দুইবার তারিখ পরিবর্তন করে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। ফলে সমাবর্তন আদৌ নভেম্বরে হবে কি-না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

কুবিতে শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

কুবিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী বলেন, “নভেম্বরে সমাবর্তন আয়োজনের জন্য আমরা এখনো মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমতি পাইনি। অনুমতি পেলে নভেম্বরেই দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।”

সমাবর্তনের প্রস্তুতি কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি  নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ডাটা কালেকশনসহ সবকিছু প্রস্তুত। এখন অনুমতি পেলেই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে, আর অনুমতি না পেলে হবে না।”

গত বছরের ২০ নভেম্বর উপাচার্য ঘোষণা দেন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তা পরিবর্তন করে গত ১৮ মে উপাচার্য ঘোষণা দেন আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে: বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের চলমান সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলে, ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।’’

চেয়ারম্যান  আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং এবং লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ সব কথা বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড নৌবাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমেছে ১৩ ঘণ্টা। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারে দুর্নীতি ও হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমে আসছে।’’

চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রধান প্রধান বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় সরকার। এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের সবগুলো বন্দরের ক্ষেত্রে এল সি টি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনাল এই তিনটি প্রকল্পের অপারেটর নিয়োগ করে দেয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।’’

তিনি বলেন, ‘‘এল সি টি প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সুবিধা, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হবে। অপরদিকে বে টার্মিনাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিদিনের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। লালদিয়া উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এলাকায় নতুন জেটি, উন্নত নৌপথ, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। লালদিয়ার সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে একসঙ্গে আরো বেশি সংখ্যক বড় জাহাজ নোঙর করতে পারবে এবং পণ্য ওঠা-নামার সময় অর্ধেকে নেমে আসবে।’’

ব্রিফিং শেষে চেয়ারম‍্যান বন্দরে সংস্কার কাজ পরির্দশন এবং ভেহিক্যাল ও কন্টেইনার ডিজিটাল একচেঞ্জ সিস্টেম উদ্বোধন করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান  রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ