প্রাণিসম্পদ খাতের বৃহত্তর স্বার্থে কম্বাইন্ড ডিগ্রির (বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) দাবিতে একজোট হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কম্বাইন্ড ডিগ্রির রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ফার্মগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

এর আগে, প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 

আরো পড়ুন:

‎ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

 ‘মফিজার রহমান কলেজের’ নাম পরিবর্তনের দাবি এলাকাবাসীর

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে আমরা ডিন স্যারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। তবে কোনো কার্যকর সমাধান পায়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রণয়নের জন্য কার্যকর রোডম্যাপ দিতে হবে। অন্যত্থায় প্রশাসনিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মগুলোতে অনিদিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেব আমরা।

তারা বলেন, সমস্যার সমাধান না হলে প্রশাসনিক উদাসীনতার প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।

গত ২৮ জুলাই থেকে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বাকৃবি পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পরে এতে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যোগ দেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাথর লুট বন্ধ করে সাদাপাথর রক্ষার দাবিতে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন

সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর রক্ষা করতে না পারলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে মানববন্ধনে ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ ও পর্যটনপ্রেমী ছাত্র-জনতা। তাঁরা বলেছেন, গণলুটের মাধ্যমে সাদাপাথর ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। জাফলংয়েরও একই অবস্থা। এটা যে করেই হোক ঠেকাতে হবে। ফ্যাসিস্ট পালালেও এখন নব্য ফ্যাসিস্টের উদয় হয়েছে। এই নব্য ফ্যাসিস্টরা সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ধ্বংস করেছে।

আজ সোমবার বিকেল চারটায় সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘সেভ সাদাপাথর’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রায় দুই শ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টায় কর্মসূচি শেষ হয়। পরে পাথর লুট বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান-সংবলিত স্মারকলিপি দিতে একদল ছাত্র-জনতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সেভ সিলেটের জেলা গভর্নর তানভীর আহমেদ চৌধুরী, ট্রাভেল সিলেটের সিইও মাহমুদুর রহমান, এনসিপি সিলেট জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক ফয়সাল আহমেদ ও আবদুল ওয়াদুদ, জুলাই ২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক মো. ওবায়দুর রহমান, শিক্ষার্থী সৈয়দ ইব্রাহিম, সাংবাদিক জে এম হোসাইন, বিপ্লব আহমদ, সিলেট বাইকার্স ক্লাবের সমন্বয়ক ফাহিম বাদশা, সিলেট কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এহসানুল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো থেকে দেদার পাথর লুটপাট চলে। এতে সিলেটের প্রশাসন ও অনেক রাজনৈতিক নেতা জড়িত। এসব লুণ্ঠনকারীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এখনো অবশিষ্ট যা আছে, তা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে শিগগির সাদাপাথর অভিমুখে লংমার্চের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

প্রশাসনের নীরবতার কারণে সাদাপাথর, জাফলং ও ভোলাগঞ্জ এলাকা ধ্বংসের পাশাপাশি পাথরশূন্য হয়েছে দাবি করে বক্তারা বলেন, পাথর লুট বন্ধ করতে হবে। ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দি সিলেটবাসীর অর্থনৈতিক আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। এ উৎস বিনষ্ট করা হয়েছে। সৌন্দর্যের এই অপার লীলাভূমি প্রকাশ্যে ধ্বংস করে ফেলা হলো। সিলেটের প্রকৃতি, পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ