যাত্রীবেশে মাদক পাচারকালে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক নারী সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়নগঞ্জ জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার শর দত্তপাড়ার বাবুল বেপারীর স্ত্রী মোসাঃ চাম্পা বেগম (৪৮) ও -ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার কাশিমপুরের আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ সজিব মিয়া (৩৩)।

এ বিষয়ে সোমবার নারায়নগঞ্জ জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদক মামলা দায়ের করেছে।

জানা যায়, রোববার রাত ১০ টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের "ক"সার্কেলের উপপরিদর্শক জনাব মোঃ আজাদ হোসেন ও  সুফিয়া বেগমের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হাজী নেকবর আলী সুপার মার্কেট এর সামনে  আল-মোবারাকা পরিবহন ( ঢাকা মেট্রো-ব-১২-৪০৭১) নামের যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে চম্পা বেগম ও সজিব নামের দুই যাত্রী  কে গ্রেপ্তার  করে। 

এ সময় তাদের নিকট থেকে ২ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন 

ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ (২৮) কে হত্যার পর মরদেহ রাজধানী ঢাকার রায়ের বাগ এলাকায় ফেলে রেখে অটোরিশা নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা।

রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে খবর পেয়ে স্বজনরা রায়ের বাগ থেকে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে। 

নিহত ইউসুফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কলাপাড়া থানার দানখালি গ্রামে। তারা বর্তমানে স্ব পরিবারের ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করছে। তার এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান বিপুল সূত্র জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত ইউসুফের মা আলো বেগম জানান, তার ছেলে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরে আসার কথা থাকলেও ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির এক পর্যায়ে ভোরের দিকে জানতে পারে ঢাকার রায়ের বাগস্থ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ওপর ইউসুফ কে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে। 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে।

ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটো রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইউসুফকে হত্যা করা হয়েছে।

তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাটি যাত্রা থানা এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় সেখানে পুলিশ তদন্ত করছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, ফতুল্লায় রিয়াদ চৗধুরীর নির্দেশে আনন্দ মিছিল
  • ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন