মাদারীপুরে থানা চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, August 2025 GMT
মাদারীপুরের রাজৈর থানা চত্বর থেকে মাদক মামলার আসামি অনিমেষ ওরফে গণি গাইন (৩২) পালিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ফের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের পাটকেলবাড়ী গ্রামের আত্মীয় অসিত রায়ের বাড়ি থেকে অনিমেষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামি অনিমেষকে রাজৈর থানা চত্বর থেকে আদালতে হাজির করতে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময় পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। তিনি উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের ছেলে
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার রাতে অভিযানে চালিয়ে অনিমেষ গাইনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে গাঁজা ও ইয়াবা পাওয়া যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা করে রাজৈর থানা-পুলিশ। পরে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের মাদারীপুর আদালতে নেওয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় কৌশলে হাতকড়ার ভেতর থেকে হাত বের করে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় অনিমেষ। এ ঘটনায় আহসান হাবিব ও সাদ্দাম হোসেন নামে রাজৈর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে গতকাল সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি পালিয়ে গোপালগঞ্জ জেলায় তাঁর ভায়রার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। আজ সকালে আসামি অনিমেষ গাইনকে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার
স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার সানজিল মীর (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকা থেকে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে ১ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তার সানজিল মীর উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মীরের ছেলে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকতেন। অভিযুক্ত সানজিল মীর সেখানে পাশের বাসায় ভাড়াটিয়া ছিলেন। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন সানজিল। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি তরুণীর গোসল করার সময় গোপনে মুঠোফোনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গত ৭ এপ্রিল তাঁকে বিয়ে করেন সানজিল। এরপরও সানজিল আরও কয়েকটি আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই তরুণী বাধ্য হয়ে নিজের উপার্জনের টাকা সানজিলকে দিয়ে দেন। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি আরও যৌতুক দাবি করেন। সানজিল তাঁর আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেন। দুই মাস আগে ওই তরুণী বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপরও সানজিল ভুক্তভোগীর নামে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেন। তরুণীর পরিবারের সদস্যরা গত ১৭ জুলাই সানজিলের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান। তখন তাঁরা হুমকি দেন।
ওই তরুণী ২১ জুলাই সানজিলের কাছে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। এরপর সানজিল আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ১ আগস্ট তরুণীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাইম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান।
র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, গ্রেপ্তার সানজিল মীরকে মদন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।