‘দেশের পাচারকৃত অর্থ দিয়ে ৪টি বাজেট করা যাবে’
Published: 17th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “দেশের যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে, তা দিয়ে চারটি বাজেট করা যাবে। রংপুরের আবু সাঈদ জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের জন্য যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।”
শনিবার (১৬ আগস্ট) কুড়িগ্রামের উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যন্ড কলেজ মাঠে ‘উলিপুর উন্নয়ন ফোরাম’ আয়োজিত উপজেলার সব স্কুল ও মাদরাসার কৃতী শিক্ষার্থী এবং এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “তুমি কোন পরিবারে, কোন বংশে জন্ম নিয়েছ তা বড় বিষয় না; তুমি কোথায় যেতে চাও, তা তোমাকেই ঠিক করতে হবে। তোমার স্বপ্ন তোমাকেই পূরণে করতে হবে। তাহলে তুমি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
চবিতে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ, অংশ নেন আড়াই হাজার শিক্ষার্থী
জায়ামাত-এনসিপি চায় না নির্বাচন হোক: দুলু
‘উলিপুর উন্নয়ন ফোরাম’ এর চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্ত্য রাখেন- প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড.
অনুষ্ঠানে উপজেলার প্রায় চার হাজার কৃতী ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট এবং বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।