নেদারল্যান্ডসকে প্রথমবারের মতো আতিথেয়তা দেওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ২৬ আগস্ট ডাচ ক্রিকেটাররা ঢাকায় পা রাখবেন। তার আগেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তাঁবু গাড়বেন সিলেটে।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার ফ্লাইটে লিটন, মিরাজ, তাসকিনরা যাবেন সিলেটে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে ক্রিকেটারদের মূল অনুশীলন। ঢাকায় ফিটনেস এবং তিনদিনের স্কিল ট্রেনিংয়ে ছিলেন ক্রিকেটাররা। সিলেটে শুরু হবে আসল প্রস্তুতি।
নেদারল্যান্ডসকে তিন টি-টোয়েন্টিতে আতিথেয়তা দেওয়ার পর বাংলাদেশ আগামী মাসে খেলতে যাবে এশিয়া কাপে। দুই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে জাতীয় দলের বিশেষায়িত ক্যাম্প চলছে। শুরুর দিকে এক সপ্তাহ শুধু ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন তারা। রানিং, টাইমিং রানিং, জিম সেশন, বিশেষ কিছু অ্যাক্রোবেটিক ওয়ার্ক করেছেন ক্রিকেটাররা।
আরো পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দলে মাফাখা, অভিষেক হচ্ছে ব্রেভিসের
বাংলাদেশের ক্রিকেট ‘পরিস্কার’ করতে অ্যালেক্স মার্শাল ঢাকায়
মিরপুরের উইকেট অনুশীলনের জন্য আদর্শ না হওয়াতেই সিলেটকে বেছে নিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ সেখানেই খেলবে বলে আগেভাগেই চলে যাচ্ছে দল। ৩০ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এখনও দল বাছাই করেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রিলিমিনারি স্কোয়াড থেকেই দল বাছাই হবে। প্রিলিমিনারি স্কোয়াড থেকে একাধিক ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ায় থাকবেন। কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না তা অনেকটাই পরিস্কার।
তাদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মাহমুদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও সাইফ হাসান। তারা অস্ট্রেলিয়ায় চারদিনের একটি ম্যাচ খেলবেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে স্কোয়াডে যোগ দেবেন নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহান।
এশিয়া কাপের প্রিলিমিনারি স্কোয়াড:
লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী, তানভীর ইসলাম, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, সাইফ উদ্দিন, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, কাজী নুরুল হাসান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও সাইফ হাসান।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল