ভোগান্তির প্রতিচ্ছবি সিংগাইর পৌরবাজার–বায়রা সড়ক
Published: 25th, August 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরবাজার থেকে বায়রা পর্যন্ত সড়কটি এখন যেন ভোগান্তির আরেক নাম। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গর্ত, খানাখন্দ, ধুলাবালি এবং বর্ষায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিদিন সড়কটিতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগী হচ্ছেন ব্যবসায়ী, কৃষক, শিক্ষার্থী, রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় সেই বিপজ্জনক ইউটার্ন বন্ধ
ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কদ্বীপে সবজি চাষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে এই রাস্তায়। বহুদিন আগে কার্পেটিং উঠে গিয়ে এখন শুধু ধুলো আর গর্তে ভরা এই সড়ক। ফলে যাতায়াতকারীদের সময় ও খরচ বাড়ছে।
তোবারক হোসেন নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সড়ক সংস্কার ছাড়া ভোগান্তি কমবে না।”
বায়রা গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, “সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বায়রা পশুর হাট ও বাজার। রাস্তার দুরবস্থার কারণে যানবাহন সংকট দেখা দিচ্ছে। যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাচ্ছেন। এ কারণে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কমে বাজারের ব্যবসাও মন্দায় পড়েছে।”
বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল আমীন বলেন, “প্রায় ১০ বছর আগে সড়কে কার্পেটিং হয়েছিল। এরপর বারবার এলজিইডিকে অবগত করা হলেও কোনো সংস্কার কাজ হয়নি এই সড়কে।”
বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, “রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, দূরবর্তী এলাকার অনেক শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। অনেক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে।”
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “বাজেট সঙ্কটের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। শুধু এই রাস্তা নয়, উপজেলার আরো অনেক সড়কের অবস্থা একইরকম।”
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “রাস্তাটির করুণ অবস্থা দেখেছি। অফিসের কর্মকর্তারাও ওই ইউনিয়নে যেতে অনিচ্ছুক। দায়িত্ব গ্রহণের পর হাসপাতাল পর্যন্ত অংশবিশেষ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।”
ঢাকা/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট