আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশের সমর্থন দাবি নৌপরিবহন উপদেষ্টার
Published: 27th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি-সি সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এ লক্ষ্যে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সমর্থন কামনা করেছেন নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
আরো পড়ুন:
ভোলায় ২০ রুটে ৭ দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ
মন্ত্রীদের কারখানা থাকায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হয়নি: সাখাওয়াত
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সমর্থন কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মেরিটাইম দেশ। যার তিনটি সমুদ্রবন্দর ও মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর রয়েছে। দেশের ৬৪টি অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠী মেরিটাইম খাতের উপর নির্ভরশীল।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং বিশ্বমানের মেরিন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।”
এ সময় তিনি আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.
পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আল সিয়াম পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণ রোধে বাংলাদেশের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।
নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ আইএমওর কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী