যশোরে ৮ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 28th, August 2025 GMT
যশোরে প্রায় ৮ কোটি টাকা দামের ৩৬টি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পৃথক দুটি দল।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে যশোর সদর উপজেলার কোদালিয়া ও তারাগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ জব্দ ও চোরাচালানিদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার আংগারিয়া সিংগাইর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম সাজিদ (২৩), যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ার নূর মোহাম্মদের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬) এবং যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আনন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন কুমার দাস বাপ্পি (৩৪)।
৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কের কোদালিয়া বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাজিদকে গ্রেপ্তার করে। তার মানিব্যাগ থেকে দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় যশোর-নড়াইল সড়কের তারাগঞ্জ বাজারে অবস্থান নেয় বিজিবির আরেকটি দল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। জাহিদ ও বাপ্পি নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কোমরে লুকিয়ে রাখা ৩৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
দুই অভিযানে জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৫ কেজি ৩৩৪ গ্রাম। এসব স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৮ টাকা।
বিজিবির ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা ঢাকার মানিকগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করেছেন। সেগুলো যশোর হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব র গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।