আমি কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করিনি, আজও কুমারী: মেঘনা আলম
Published: 31st, August 2025 GMT
২০২০ সালে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন মডেল মেঘনা আলম। শুরু থেকেই আলোচনায় থাকলেও সম্প্রতি নানা বিতর্কের কারণে আবারো সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন।
চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর তাকে ৩০ দিন আটক রাখা হয়। চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় মেঘনাকে। তবে ২৮ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান তিনি।
আরো পড়ুন:
‘বিয়ের পাঁচ বছর কেটে গেলেও এখনো ফ্রি টিকিট পাইনি’
আটত্রিশে থেমে গেল অভিনেত্রীর জীবন
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্য করে আলোচিত হয়েছেন মেঘনা। এবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নিজেকে ‘কুমারী’ দাবি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মেঘনা লেখেন, “আল-কোরআন আল্লাহর সর্বশেষ বাণী। আজ আদালতে আমি শপথ করেছি, সেই কোরআন হাতে নিয়ে যেটি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন ঈসা, আরেকটি যেটি সৌদি বাদশাহ কর্তৃক মুদ্রিত ও দূতাবাসের সরকারি অনুষ্ঠানে বিতরণকৃত।”
কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করার কথা জানিয়ে মেঘনা লেখেন, “আমি আল-কোরআনের উপর হাত রেখে ঘোষণা করেছি, আমার জীবনে আমি কখনো কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করিনি, এমনকি ঈসার সাথেও নয়। আমাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা বন্ধ হোক।”
নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেঘনা। তার ভাষায়, “আমাদের সমাজে মানুষ প্রায়ই ভুল করে। দাড়ি-জুব্বা-বোরখা দেখলেই মনে করে সেটিই পবিত্রতার প্রতীক। আর কোনো নারী খোলামেলা পোশাক পরলেই ধরে নেয় সে সহজলভ্য। কিন্তু বাহ্যিক চেহারা দিয়ে অন্তর বোঝা যায় না।”
নিজেকে কুমারী দাবি করে মেঘনা লেখেন, “আমি কোরআনের কসম খেয়ে বলছি, আমি কখনো সচেতন অবস্থায় কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিনি। আজ পর্যন্ত আমি কুমারী। শুধু ক্ষমতাধর কারো সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিহাসে বারবার নারীকেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, অথচ পুরুষ থেকে যায় প্রশ্নহীন, নিরাপদ ও অব্যাহতি-প্রাপ্ত।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।