তিন দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন তারা। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।

আরো পড়ুন:

বাকৃবিতে ১০০ খামারিকে প্রশিক্ষণ দিল জিয়া ফাউন্ডেশন

সুতিয়াখালিতে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও চারা বিতরণ

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়–সংলগ্ন রেললাইনে গিয়ে হাওর এক্সপ্রেস আটকে দেন। পরে তারা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) পদ কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া নবম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রাখা যাবে না। কৃষি বা কৃষিসংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন না করে কেউ নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কৃষি খাতে ডিপ্লোমাধারীরা যে দাবি তুলেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে পেশাদার কৃষিবিদেরা বঞ্চিত হবেন। এ দাবিগুলোকে তারা ‘অযৌক্তিক ও অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেন।

কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের তিন দফা দাবি একেবারেই যৌক্তিক। কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় আমরা মাঠে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’

ঢাকা/লিখন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ