Risingbd:
2025-11-02@18:40:47 GMT

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন যীশু

Published: 1st, September 2025 GMT

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন যীশু

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবনে নীলাঞ্জনার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। এ সংসারে তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। এদিকে নেটদুনিয়ায় জোর চর্চা চলছে, ভেঙে যাচ্ছে যীশু-নীলাঞ্জনার সংসার। 

কেবল গুঞ্জন নয়, বহুদিন ধরে আলাদা থাকছেন যীশু-নীলাঞ্জনা। তবে এখনো কাগজে-কলমে স্বামী-স্ত্রী তারা। এর আগে সংসার ভাঙা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নীলাঞ্জনা। তবে যীশুকে কথা বলতে দেখা যায়নি বললেই চলে! 

আরো পড়ুন:

দেবের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ শুভশ্রী

‘অভিনেত্রী মানেই কি পোশাক খুলে দাঁড়িয়ে পড়বে?’

যীশু সেনগুপ্ত বলেন, “এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আগেও বলিনি, আজও বলতে চাই না। অনেকের অনেক ধারণা রয়েছে। তবে আমি একটা কথাই বলব, ‘বাইরে থেকে বইয়ের কভার দেখে, বইটার বিচার করতে যাবেন না।’ এটা নিয়ে আমি কোনো দিনই মুখ খুলব না, কারণ আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। তবে কিছু মানুষ অবশ্যই আছেন, যাদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, যতটা করা যায়। না হলে তো পাগল হয়ে মারা যেতাম। তবে আমি তাদেরও বলে দিয়েছি, যদি তারা এটা নিয়ে বাইরে কথা বলেন, তাহলে তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক থাকবে না।” 

দাম্পত্য সম্পর্কে ফাঁটল ধরেছে বলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে চলে যাবেন, এমন মানসিকতা পোষণ করেন না যীশু। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “দুটো মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারছে না। ছোটোবেলায় আমরা তিন বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার সমস্যা হলো। তারপর তার আর আমার সেভাবে বন্ধুত্ব থাকল না। তবে আমি আর আমার আর এক বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেলাম। তেমন আমরাও বন্ধু ছিলাম। কিন্তু এটা হতেই পারে একটা জায়গায় আমাদের মতের অমিল, মিল, শ্রদ্ধা, একসঙ্গে থাকা সবটাই একটা পয়েন্টে মনে হতেই পারে ঠিকভাবে হচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে, আমি মানুষটার বিরুদ্ধে চলে যাব। আমি বিশ্বাস করি, যদি কোনো সমস্যায় পড়ে আমি ওর পাশে থাকব।” 

দাম্পত্য জটিলতা তৈরি হওয়ার পর যীশুর কন্যা সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে আনফলো করেছে। এ বিষয়ে যীশু বলেন, “সারাকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত। ও আমার থেকেও যথেষ্ঠ স্মার্ট। আমি ওর ছবি পেলেই যারা আমার কাছের তাদের দেখাই। ও খুব ভালো কাজ করছে। পুরোটাই ও নিজে করেছে। আমি কখনো বলব না যে, আমি বা নীলাঞ্জনা ওকে সাহায্য করেছি। ও সবটা নিজে করেছে। ও যা করেছে আমি কখনো তা পারতাম না।” 

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে নীলাঞ্জনা বলেছিলেন, “অতীতের ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে উঠেছি। অতীত এখন অনেকটা পেছনে। অতীতকে নিয়ে বেঁচে থাকলে কখনো এগোনো যায় না। তাই পেছনে তাকিয়েও লাভ নেই। বর্তমান সময়টা আমার কাছে উপহার। ভবিষ্যতের উপর কারোর নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই কী ঘটেছে তা নিয়ে কান্নাকাটি না করে হতাশ না হয়ে সামনে তাকাতে হবে।” 

এত বছরের সংসার ভাঙার নেপথ্যের কারণ নিয়ে কয়েক মাস আগে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। তাতে জানানো হয়, টলিউডের এ হ্যান্ডসাম নায়কের প্রেমে পড়েছেন গুজরাটের কন্যা শিনাল সুর্তি! শুধু প্রেম নয়, মুম্বাইয়ে একসঙ্গে থাকছেনও যীশু ও শিনাল! যীশু সেনগুপ্তর সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন শিনাল। প্রায় ৫ বছর ধরে যীশুর সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। 

দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাই ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন যীশু। খুব কম সময় কলকাতায় থাকছেন। এই দূরত্বই নাকি কাল হয়েছে যীশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য জীবনে! সোশ্যাল মিডিয়ায় যীশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি যীশুর সঙ্গে তোলা নিজের অধিকাংশ ছবি ডিলিট করেছেন তিনি। 

২০০৪ সালে নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন যীশু সেনগুপ্ত। টিভি ধারাবাহিকে যীশু তখন জনপ্রিয় মুখ। অঞ্জনা ভৌমিকের বড় কন্যা নীলাঞ্জনাও তখন অভিনয়জগতে বেশ জনপ্রিয়। তারপর যীশু-নীলাঞ্জনার সংসার আলো করে আসে সারা এবং জারা নামে দুই কন্যাসন্তান। সন্তান-সংসারই নীলাঞ্জনার ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই সুখের সংসারে নেমে এসেছে ঘন কালো মেঘ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন ল ঞ জন র স

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ