নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ  হবে, পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমাজ উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে প্রাণী ও প্রাণী খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলাকারীরা পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহানবীর (সা.

) অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে 

ফরিদা আখতার বলেন, “পশু পালনের মাধ্যমে পরিবারে স্বচ্ছলতা আসে। আপনারা নিজের সন্তানের মতো হাঁস-মুরগি ও পশু মমতা দিয়ে পালন করেন। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে পশু পালন করলে ক্ষতি কম হবে।” 

এ সময় তিনি ৬৪টি পরিবারের মধ্যে ২১টি করে হাঁস, ৬৯টি পরিবারের মাঝে ২৫টি করে মুরগি, ১০টি পরিবারের মধ্যে দুইটি করে ছাগল, ৭৪ টি পরিবারের মধ্যে তিনটি করে ভেড়া, মোট ২১৭ টি পরিবারের মাঝে প্রাণী ও প্রাণী খাদ্য বিতরণ করেন। 

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ড. মো. আব্দুস সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক স্কীন প্রজনন শাহ জামান খান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন, কেরানীগঞ্জ পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাইবুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ।

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব র র ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ