দে‌শের প‌রি‌স্থি‌তি খুব খারা‌পের দি‌কে যা‌চ্ছে, এ অবস্থা চল‌তে থাক‌লে সরকারপ্রধান পালানোর পথ পাবে না ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন জাতীয় পার্টি একাং‌শের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হল মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এই কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চল‌ছে: আনিসুল 

জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে: মোস্তফা

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মন্তব‌্য ক‌রে কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, “মব ভায়োলেন্স, সন্ত্রাস, দখল বাণিজ্য আর লুটপাটের অভয়ারণ্যে  পরিণত হয়েছে দেশ। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। পরিণতি এমন দিকে যাচ্ছে শেখ হাসিনা হয়তো পালিয়ে বাঁচতে পেরেছে কিন্তু ড.

ইউনূস পালানোর পথ পাবেন না। তাই সময় থাকতে স্বেচ্ছায় ক্ষমতাবান হস্তান্তর করুন। তাহ‌লে জনগণ আপনা‌কে ক্ষমা কর‌তে পা‌রেন।”

তি‌নি ব‌লেন, “দেশবাসী নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। কিন্তু দে‌শের সা‌র্বিক প‌রি‌স্থিতি‌তে এ আশা ক্ষীণ হ‌য়ে আস‌ছে।”

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার আহ্বান জা‌নি‌য়ে কাজী মামুন ব‌লেন, “মব ভায়োলেন্সকে প্রতিহত করতে হবে। বারবার জাতীয় পার্টি অফিসে মব সৃষ্টি করে হামলা করা হচ্ছে। আর এই সরকারের উপদেষ্টা তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। মব সৃষ্টিকারীদের বিচার করতে হবে।”

যুব সংহ‌তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল হাসান আহমেদ জুয়েলের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলের পরিচালনায় পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান সুনীল শুভরায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, হাফসা সুলতানা, পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, কবি অধ্যক্ষ এম ইউনুস ফার্সি।

উপ‌স্থি‌ত ছি‌লেন জাপা নেতা জিয়াউল হক জুয়েল, খোরশেদ আলম খুশু, আকরাম আলী শাহীন, ইদ্রিস আলী, সৈয়দ মোকাব্বির, আজমল হোসেন জিতু, মহসিন হোসেন রানা, আল আমিন, সাহিদুল ইসলাম সাকিল, মো. শরীফ প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম র পর চ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ