বাগেরহাটে সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে দুই দিনের হরতাল শুরু
Published: 10th, September 2025 GMT
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা দুইদিনের হরতাল শুরু হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে হরতাল সফল করতে জেলার প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। দূরপাল্লার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক
বাগেরহাট থেকে ১৬ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, “জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ মাঠে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, বিএনপি নেতা সৈয়দ নাসির উদ্দিন মালেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করেছে। এতে জেলাবাসী বঞ্চিত হবে।’’ তারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসন পুনর্বহালের দাবি জানান। একইসঙ্গে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালনের ঘোষণা দেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে চার আসন বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে বাগেরহাটের তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। তখনকার সীমানা ছিল, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হরত ল স প ট ম বর ব গ রহ ট র হরত ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব