পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার ৪
Published: 14th, September 2025 GMT
ঝালকাঠিতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন চার যুবক। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বাঁধন হালদার (৩০), চঞ্চল ঢালী (২৯), সঞ্জয় হালদার (২২) ও হৃদয় গাইন (২২)। তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা জানিয়েছেন, প্রায় সাত বছর পূর্বে অধিক মুনফার লোভে গ্রামের পেয়ারা চাষিসহ বিভিন্নস্তরের মানুষ কয়েক কোটি টাকা জমা রাখে নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের আঁতা সমবায় সমিতিতে। বর্তমানে সমিতি তাদের পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। পাওনা টাকা চাইতে গেলে আঁতা সমবায় সমিতির পরিচালক উত্তম মিস্ত্রি অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। এক পর্যায়ে উত্তম মিস্ত্রি ও তার কর্মচারী স্বপন মন্ডল, রিপন ও অঞ্জলী মিস্ত্রি মিলে জিআই পাইপ, চেয়ার ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে চারজনকে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। আহত বাঁধন হালদার একলাখ ৭০ হাজার, হৃদয় গাইন দুই লাখ ৪৬ হাজার, চঞ্চল ঢালী চার লাখ ও মিলন মাদবর ১২ লাখ টাকা পাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উত্তম মিস্ত্রির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন বলেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০
৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক
এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়।
সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
ঢাকা/নুর/বকুল