নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
Published: 15th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের চার বছরের সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, হাবিবুল্লাহ শিপলু, তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম ও ছেলে আফরান। শিপলুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) তারেক আল মেহেদী লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বউবাজারে পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিপলুর বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘‘মা ও সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।’’
তিনি বলেন, ‘‘তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘‘শিপলু একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা মালিক ও শিপলুর বিরুদ্ধে মামলায় করে। সেই থেকে শিপলু হতাশা হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশা থেকে হত্যার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র র ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।