খুলনা মহানগরীর পশ্চিম রূপসা ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন ‘ড্যাপস্ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ ক্লিনিকের তৃতীয় তলা থেকে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চার দিনের নবজাতক চুরি হয়। তবে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মহানগরীর রূপসা ইস্পাহানী গলি থেকে নবজাতক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

খুলনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘‘নবজাতক চুরির পর সাঁড়াশি অভিযানে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড়ের অদূরে ইস্পাহানী গলি থেকে  উদ্ধার করা হয়। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

শেরপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার

নবজাতককে কী খাওয়াবেন, কখন গোসল করাবেন

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুদ বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশের ত্বরিত অভিযানে নবজাতককে উদ্ধার করা সম্ভব হলো।’’

নবজাতকের মা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘‘বাগেরহাটের মোংলার সিগন্যাল রোডের বাসিন্দা স্বামী সুজন মিয়াকে নিয়ে সন্তান ডেলিভারির জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হই। চার দিন আগে আমার ছেলের সন্তান হয়। আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সাড়ে ১২টার দিকে ঘুম থেকে জেগে নবজাতককে না পেয়ে চিৎকার শুরু করি। ক্লিনিকের তৃতীয় তলার একটি রুমে আমি চিকিৎসাধীন আছি।’’

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় থাকা এক নারী তৃতীয় তলা থেকে এক শিশুকে ঢেকে নিয়ে নেমে যাচ্ছে। ওই নারী কাকে নিয়ে যাচ্ছে, সেটি স্পষ্ট না হলেও পুলিশের ওই নারীকে নিয়ে সন্দেহ হয়।

নবজাতকের মা-বাবা বলেন, ‘‘আমাদের আগে দুটি সন্তান মারা গেছে। এবার আল্লাহ একটি ছেলে দিলেন, তাও চোরে নিয়ে যায়।’’ সন্তান ফিরে পেয়ে তারা আনন্দে কেঁদে ফেলেন। 
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র সন ত ন উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ