ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধের মাথা ন্যাড়া করলেন বিএনপি নেতারা
Published: 16th, September 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আওলাদ হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি রিকশাচালক। অভিযুক্তরা হলেন— স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আওলাদকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করা হয়। শালিসি বৈঠকের নামে এ কাণ্ড করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। অনেকেই নিষেধ করা সত্ত্বেও আওলাদের মাথা ন্যাড়া করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আওলাদ হোসেন এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেছেন, শিশুটির বাড়িতে পানি খেতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ধর্ষণের অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজাদ ও সেক্রেটারি ফারুকের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন বলেছেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শালিস করা হয়। বৈঠকে আওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন উপস্থিত গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে মারধর কিংবা থানায় হস্তান্তর নয়, তার মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে। এটি যদি অপরাধ হয়, তাহলে যে শাস্তি প্রশাসন দেবে, সেটি মাথা পেতে নেব।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে শিশুটির মাকে রিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যান আওলাদ। পরে খালি ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করায়, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি। অপরাধ করেছে, তাই গ্রামবাসী শাস্তি দিয়েছে। আমরা থাকায় আওলাদ প্রাণে বেঁচে যান। মানুষ খুবই ক্ষিপ্ত ছিল।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন বলেছেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ শালিসি বৈঠকে প্রমাণিত হয়। তাই, উপস্থিত লোকজন অভিযুক্তের মাথা ন্যাড়া করে দেন। তার স্বজনদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এটি দোষের কিছু নয়। কারো একক সিদ্ধান্তে মাথা ন্যাড়া করা হয়নি। তাছাড়া, বৃদ্ধ ও অসহায় হওয়ায় আওলাদ হোসেনকে পুলিশে দেওয়া হয়নি।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেছেন, এ ঘটনার বিষয়ে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/লিটন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওল দ হ স ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন