বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
Published: 20th, September 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।
আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।
দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল ইসল ম ষড়যন ত র ব এনপ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা অশুভ শক্তি: আযম খান
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, “এই মুহূর্তে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, যারা আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা দেশের অশুভ শক্তি। তারা দেশের অগণত্রান্ত্রিক শক্তি। তারা দেশকে আবারো ফ্যাসিবাদের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায়। তাদের বিষয়ে সমগ্র জাতির সাবধান হতে হবে।”
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আগামী ২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হবে কিনা এই প্রশ্নটা রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে কেন আলোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি এই মুহূর্তে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। যখন ঐক্যমতের কমিশনে আলোচনা হয়- তখন কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পিআরের প্রশ্ন কেউই তোলেনি। কেউই এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর দিতে হবে দাবিও করেনি। এটা শুধুমাত্র আপার হাউজের দুয়েকটি দল দাবি করেছিল। বিএনপি বলেছে- এ ব্যাপারে জাতি প্রস্তুত নয়, এটার জন্য সময় নিতে হবে। তবে এই মুহূর্তে এটা চিন্তা করার অবকাশ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্রের পথে এগোনো যাবে না। দেশটাকে উন্নয়নের পথে দেওয়া যাবে না, দেশের অর্থনীতির চাকা, এখন যেভাবে আছে তা বেশি দূর এগোনোর নয়। এই চাকা সচল হবে না। সম্মৃদ্ধির পথে যাবে না। তাই আমি মনে করি যে দুয়েকটি দল এই পিআর-এর কথা বলছে বা নির্বাচন পেছানোর নানা রকমের ফন্দিফিকির করছে। সেটা ঠিক নয়। দেশের প্রশ্নে তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে আসতে বলব। পিআর-এর এই ধোয়া তোলা থেকে বিরত থাকতে বলব। তাদের দেশপ্রেমিকতার পরিচয় দিতে বলব। এর বাইরে দেশের গণতন্ত্র পথের যাত্রা ও নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, অ্যাডভোকেট দেওয়ান হুমায়ূন কবির রিপন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম, ছাত্রদল নেতা নাহিদ খান, আজিজুল ইসলাম বিজয় প্রমুখ। পরে তিনি উপজেলা মডেল মসজিদ হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
ঢাকা/কাওছার/এস