চুয়াডাঙ্গায় হোটেল থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার
Published: 20th, September 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পাশে ‘চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেল’ থেকে মাহবুবুর রহমান মাসুম (৩৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মাহবুবুর রহমান মাসুমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের সবুজ পাড়ায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমান মাসুম তিন বন্ধুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে আসেন। তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।
হোটেলের ম্যানেজার সাগর জানিয়েছেন, তিন বন্ধুই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। মাসুমের দুই বন্ধু চলে গেলেও তিনি হোটেলেই থেকে যান।
তিনি আরো জানান, মাসুম বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। শনিবার সকালে হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে কান্নার শব্দ শুনে তিনি উপরে গিয়ে দেখতে পান মাসুমের স্বজনরা সেখানে কান্নাকাটি করছেন। স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয় মাসুমকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা দেখতে পান মাসুমের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে এবং তিনি মারা গেছেন। তখন স্বজনরা জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদুর রহমান জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে তারা চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ওসি আরো জানান, তারা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) খবর দিয়েছেন এবং তারা এসে তদন্ত করবে। থানা পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন উদ ধ র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢামেকে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুর, আটক ৩
জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত সাফওয়ান (৪) নামে এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ শিশুটি চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা গেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে শিশুকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে ২১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। পরে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দেওেয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে শিশু স্বজনরা ডাক্তারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সেসময় জুয়েল নামে এক ট্রলি ম্যানকে রোগীর স্বজনরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই শিশুর লাশ জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা স্বজনদের বাধা দিলে তারা দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আনসার সদস্যরা তিন যুবককে আটক করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন- সামির (৩০), সোয়েব (২১) ও রেজাউল (২৫)। তারা সবাই রাজধানীর পুরান ঢাকার আগামসিলেনের বাসীন্দা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “পুরান ঢাকা বংশালের আগামসি লেন থেকে কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে এক শিশুকে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে। তারা ঢাকা মেডিকেলের এক ট্রলি ম্যানকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে জরুরি বিভাগের ওসেকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া দরজা-জানালা ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় তিন জকে গ্রেপ্তার করে শাহাবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঢাকা/বুলবুল/এস