চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পাশে ‘চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেল’ থেকে মাহবুবুর রহমান মাসুম (৩৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।  

মাহবুবুর রহমান মাসুমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের সবুজ পাড়ায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন।

পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমান মাসুম তিন বন্ধুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে আসেন। তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। 

হোটেলের ম্যানেজার সাগর জানিয়েছেন, তিন বন্ধুই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। মাসুমের দুই বন্ধু চলে গেলেও তিনি হোটেলেই থেকে যান।

তিনি আরো জানান, মাসুম বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। শনিবার সকালে হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে কান্নার শব্দ শুনে তিনি উপরে গিয়ে দেখতে পান মাসুমের স্বজনরা সেখানে কান্নাকাটি করছেন। স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয় মাসুমকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা দেখতে পান মাসুমের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে এবং তিনি মারা গেছেন। তখন স্বজনরা জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদুর রহমান জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে তারা চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। 

ওসি আরো জানান, তারা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) খবর দিয়েছেন এবং তারা এসে তদন্ত করবে। থানা পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন উদ ধ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সমুদ্রের লবণ, সূর্যের দহন

মহানগর

পরাজিত হতে দেখে—
তোমার তীরবর্তী নদীটিও
হেরে যায়, ঢেউয়ের শব্দে
ঢেউ তুলছে রঙিন আঁধার
এসব পুরোনো দিনে
আমকাঠের বসত জুড়ে থাকি
বনজ দেশজ সব ছায়ায়
শুয়ে, আমাদের মাঝে—
পাকা ফলের ঊর্ধ্বমুখী
গান, গন্ধ আর গুলির বর্ষণ
কেননা বিজয় তোমারই
পাকা ধান আর পোকার দরদে
জমিনের গতরে জেগে আছে
ঢাকাগামী মহানগর হুইসেল
একা অন্তর্লীন একটি তরুণ
কয়েকটি দশক

জলজ

কিছুটা তরল নমনীয় সময়
সন্ধ্যার ভেতর দলা পাকিয়ে ফেলছে
আমায়, চেয়েছে সংক্ষিপ্ত হোক
পথ ও আনুষঙ্গিক অনুশোচনা যত
এই মাটিরও কি দায় আছে
সমস্ত সৃষ্টির নীরবতায়
ডুবে ডুবে ভেসে ওঠে মীন হৃদয়
বিরহ ও প্রেমের নিম্নমুখী টানে
ভাটির দেশ প্লাবিত তোমাদের জ্যোৎস্নায়
তারা হৃদয় শাসন করে নেমেছে বিলে
দুজনের বিপরীত আলো-অন্ধকার ধরে

উন্মাদ

পঁচিশে ছুঁয়েছি নিজের মূলাঘাত শূন্যতা
মুখোমুখি হওয়ার সমস্ত ক্লান্তি
অফিস ডেস্কজুড়ে স্বদেশের ক্লান্ত হর্ন
তাই তো আমার রক্ত–মাংস আঘাত করে
ইউরোপীয় ঠান্ডা বিয়ার ফুটবলের উন্মাদ
তবুও পা–গুলো চলে পেশির জোরে
মাথা ঘামছে টাকার জৌলুশে
তুমি আছ অমীমাংসিত বন্ধনে
অথচ চব্বিশ ছিল আরও রহস্যের
মেঘের চেয়েও আরাম ছিল
ভুনা পাঙাশ আর সাদা ভাতের ফাঁকে
স্বপ্নহীন অগণিত আয়েশ।

অহং

কোথাও কোনো অর্থ নেই
মূল্য যদি কিছুর হতে হয়
তীব্র সকালটির করো—
স্ফূর্ত নীলের অববাহিকায়
মেঘ হতে হতে কুচকুচে
বীজতলায় নতুনের সম্ভাবনা
বুনে দাও অথবা
খুঁজতে থাকো অপ্রিয় সব
কথন, বিরক্তির ভেতর
ক্রোধের ওপাশে কোথায়
শেষ হচ্ছে আমাদের প্রান্তর
সমুদ্রের লবণ
সূর্যের দহন

বৃত্ত

দ্বিতীয় স্থান, পেছনের সারি
অনেকগুলো বিকল্পের কাতারে
শেষ ব্যক্তিটি আমি
শেষ বিন্দুটি পার হলে
শিকল থেকে নরম শিখরে
শাখাযুক্ত উপশাখাটি আমি
আন্ডার কনস্ট্রাকশন
বিলুপ্ত হবে হবে এমন
তারপরও
যেখানে বৃত্তের পরিসীমা
কিংবা সমকোণী ত্রিভুজ
খালি রেখেছে অনেক মাপ
পরিমাণে কম হয়ে সেখানেও
শূন্য হতে হয়েছে পুণ্যে
নত হতে হয়েছে নির্গুণে

সম্পর্কিত নিবন্ধ