সুনামগঞ্জে যাদুকাটা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ছয়জনের কারাদণ্ড
Published: 21st, October 2025 GMT
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের সাজা দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গতকাল রাতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর আওতায় পরিচালিত এই অভিযানে বালুভর্তি নৌকাসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনযাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা১৫ অক্টোবর ২০২৫ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ বালুসহ একটি ট্রলার জব্দ এবং চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকেই এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই রাতে দিরাই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অপর অভিযানে যাদুকাটা নদীর তীরের মাটি কাটার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুটি বালুমহাল আছে। মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই লাউড়েরগড় সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ইজারার বাইরে গিয়ে একটি পক্ষ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। ৬ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ওই এলাকায় বালু লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইজারাদার তিনটি মামলা করেছে।
আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে বালু লুট : আসামির তালিকায় আছে আন্দোলনকারীদেরও নাম১৭ অক্টোবর ২০২৫স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নদীর পাড় কেটে বালু তোলার কারণে আশপাশের গ্রাম ও স্থাপনাগুলো ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যাদুকাটা নদীর দুটি বালুমহাল প্রায় ১০৭ কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় ইজারাদারদের মহাল বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়। চলতি মাসে প্রশাসন মহাল হস্তান্তরের পর সেখানে আবার বালু তোলা শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। এ জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ পর চ ল ত উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
সাইনবোর্ডে ডিবি পরিচয়ে বাস ডাকাতির ৪ আসামি গ্রেপ্তার
ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতির মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় মুঠোফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে ডাকাতিটি সংঘটিত হয়। কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী জেএস ট্রাভেলসের একটি বাস ভুঁইঘর পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছলে ৪ ব্যক্তি বাস থামিয়ে নিজেদের ‘ডিবি পুলিশ’ দাবি করেন।
তারা তল্লাশির নামে যাত্রীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের মারধর করেন। পরে নগদ টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। ওই দিনই যাত্রী আফরোজা আক্তার এনি ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দিলে মামলাটি রুজু হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন নির্দেশনায় এসআই মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে ভূঁইঘর এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন— আরিফুল হক সোহান (৩৪), হৃদয় আহম্মেদ (২৬), সজীব ইসলাম (৩০) এবং আমির হোসেন সরদার (৫০)।
পুলিশ জানায়, আরিফুল, হৃদয় ও সজীব ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসে উঠে যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে টাকা এবং মালামাল ছিনিয়ে নেন। পরে লুণ্ঠিত ফোনগুলো স্থানীয় মোবাইল ব্যবসায়ী আমির হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন।
পরে আমির ওই চোরাই ফোনের একটি ফোন শিল্পী বেগম নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করলে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে একই কৌশলে বিভিন্ন রুটে ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।