সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের সাজা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গতকাল রাতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর আওতায় পরিচালিত এই অভিযানে বালুভর্তি নৌকাসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুনযাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা১৫ অক্টোবর ২০২৫

ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ বালুসহ একটি ট্রলার জব্দ এবং চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকেই এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই রাতে দিরাই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অপর অভিযানে যাদুকাটা নদীর তীরের মাটি কাটার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুটি বালুমহাল আছে। মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই লাউড়েরগড় সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ইজারার বাইরে গিয়ে একটি পক্ষ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। ৬ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ওই এলাকায় বালু লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইজারাদার তিনটি মামলা করেছে।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে বালু লুট : আসামির তালিকায় আছে আন্দোলনকারীদেরও নাম১৭ অক্টোবর ২০২৫

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নদীর পাড় কেটে বালু তোলার কারণে আশপাশের গ্রাম ও স্থাপনাগুলো ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যাদুকাটা নদীর দুটি বালুমহাল প্রায় ১০৭ কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় ইজারাদারদের মহাল বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়। চলতি মাসে প্রশাসন মহাল হস্তান্তরের পর সেখানে আবার বালু তোলা শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। এ জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ পর চ ল ত উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ফখর জামানকে শাস্তি দিল আইসিসি

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামানকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ফখর ‘আইসিসি কোড অব কনডাক্টের ২.৮ ধারা’ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ বা প্রকাশ্য আপত্তি জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন:

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল

এ ঘটনার কারণে ফখরের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ডে একটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এটি ছিল তার প্রথম অপরাধ।

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। সেই ওভারে আউট হওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিতর্কে জড়ান ফখর জামান।

এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রিয়ন কিং শাস্তির প্রস্তাব দেন। অভিযোগ তোলার দায়িত্বে ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুব, থার্ড আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ এবং ফোর্থ আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি।

ফখর নিজের অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, লেভেল-১ অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা এবং সাথে এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, সেই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ