ইকবাল হোসেন বেসরকারি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে আস্থা রেখেছিলেন দেশের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক সরকারি পরীক্ষায়। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার কারণে এখন বেকার বসে আছেন তিনি। প্রায় একই রকম সমস্যায় পড়েছে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হাজারো চাকরিপ্রার্থী। চাকরি পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও সরকারি লাল ফিতার দৌরাত্ম্য প্রায় চার মাস ধরে ঝুলে আছে তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়া।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে ৪৪তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। তাঁরা দ্রুত গেজেট কার্যক্রম শুরু করা, রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের ব্যাখ্যা এবং চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া একজন সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডার বলেন, ‘প্রথমত আমাদের মানবিক দিকটি সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। রিপিট ক্যাডারদের সম্মতির ভিত্তিতে তাঁদের বাদ দিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা উচিত। ফলাফল প্রকাশের প্রায় চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থী নিদারুণ মানসিক চাপ নিয়ে দিন যাপন করছেন।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই তিন বছর সাত মাস পার হয়েছে। ইতিহাসের দীর্ঘতম বিসিএসের রূপ নিতে যাচ্ছে এই ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগ কার্যক্রম। এটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
প্রার্থীরা মানববন্ধন থেকে তিনটি দাবি জানিয়েছেন। এক, ফাইল গেজেট কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা; দুই, ফল প্রকাশের পর আটকে থাকা রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের দ্রুত ব্যাখ্যা প্রদান; তিন, চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

আরও পড়ুনফাইল ছেড়ে দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান২ ঘণ্টা আগে৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জুন ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

মাদারীপুরের শিবচরে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিবচরের সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সড়ক ৭১ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে হাজী শরীয়তউল্লাহ সমাজকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য নজরুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদ, মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি আল আমিন, সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী হিমেল, ফাহিম, আকাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা প্রথম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। তখন শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা মিঠুন মজুমদার (২৫) কৌশলে শিশুটিকে তাঁর বাড়ি নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে বিকেলে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন মিঠুন। শিশুটি বাড়ি ফিরে স্বজনদের সবকিছু খুলে বললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই শিশুটিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা জানাজানির পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মিঠুনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অনুসন্ধান) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার মিঠুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে বালু তোলা বন্ধের দাবিতে সীতাকুণ্ডে মানববন্ধন
  • পদচারী–সেতু নির্মাণের দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন