সাধারণ নাগরিকের জন্য বিচার প্রক্রিয়া আরো সহজতর করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকের জীবনে সংবিধানকে আরো কার্যকর ও অর্থবহ করে তুলতে হলে বিচার প্রক্রিয়া আরো সহজতর, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে।’’’

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আদালত পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।

প্রধান বিচারপতি আদালতের ন্যায়কুঞ্জ, লিগ্যাল এইড কার্যক্রমসহ বিভিন্ন শাখা ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে আদালতের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

ইউএনডিপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, দেশের গরীব ও অসহায় মানুষের বিচার প্রক্রিয়া আরো সহজতর করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আদালতের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর গ্র্যান্ডপার্ক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় জুডিশিয়াল ইন্ডিপেনডেন্সি অ্যান্ড ইফিশিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনার। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সেমিনারে ইউএনডিপি প্রতিনিধি দল, জেলা ও দায়রা জজ, বিচারক এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আদালতের কার্যক্রমকে আরো দক্ষ ও স্বচ্ছ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন প্রয়োজনীয়তা। আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি একীভূত করার মাধ্যমে বিলম্ব কমাতে, স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং মামলাকারীদের আরো নির্বিঘ্ন সেবা প্রদানে আমরা বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্র ইউএনডিপি অনুঘটক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ র প রক র য় ইউএনড প

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র আধুনিকায়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে আজ রোববার ঢাকায় এক পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিএসসির বিদ্যমান সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের কাঠামো নিয়ে চলমান গবেষণায় দেখা গেছে—সিলেবাসের কিছু অংশ অপ্রয়োজনীয়, কিছু অংশ অস্পষ্ট এবং কিছু অংশ অতিদীর্ঘ। ফলে বিসিএসের প্রার্থীরা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা পান না। কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, সিলেবাস পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বলেন, জাতীয় কারিকুলামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ে এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যা আধুনিক, স্বচ্ছ, প্রাসঙ্গিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মত হবে। আলোচনায় আরও বলা হয়, নতুন সিলেবাস শুধু বিসিএস পরীক্ষাই নয়, অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।

পিএসসি সূত্র জানায়, সিলেবাস ধাপে ধাপে হালনাগাদ করা হবে এবং যৌক্তিক সময় হাতে রেখে প্রার্থীদের জানানো হবে। আজকের কর্মশালায় সিলেবাসের পাশাপাশি প্রশ্নপত্রের ধরন, প্রশ্ন তৈরির নীতি ও মূল্যমানের (মার্ক) বিভাজন নিয়েও আলোচনা হয়।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে যা জানা জরুরি১১ ঘণ্টা আগে

পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম কর্মশালায় বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম মানবসম্পদ তৈরির জন্য বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো যুগোপযোগী করা জরুরি। কর্মশালায় উত্থাপিত মতামত ও সুপারিশ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কর্মশালায় পিএসসির সদস্য, ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনরুয়েটে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ, পদসংখ্যা ১১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেসামরিক পদে নবম গ্রেডে নিয়োগ, পদ ১২৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিএস সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র আধুনিকায়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত