নড়াইলে চেক প্রত্যাখ্যান মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 26th, September 2025 GMT
চেক প্রত্যাখ্যানের দুই মামলায় নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত হিমায়েত হুসাইন ওরফে ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চাকই বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানার পুলিশ।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। এর মধ্যে এনআই (নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট) অ্যাক্টের দুটি মামলায় তাঁর সাজা হয় এবং আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে হিমায়েত হুসাইন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় বিছালী ইউনিয়নের চাকই বাজারে অভিযান চালায় সদর থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় বাজারের একটি মাছের আড়ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এনআই অ্যাক্টের দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিমায়েত হুসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
হিমায়েত হুসাইন নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রঘোষিত নড়াইল জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে তাঁকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল। তবে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে এক দিন পরই ওই কমিটি স্থগিত করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ম য় ত হ স ইন গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।