না.গঞ্জ সদরে শারদীয় দূর্গাপূজার নিরাপত্তায় আনসার ভিডিপি'র ব্রিফিং
Published: 27th, September 2025 GMT
সদর উপজেলা আনসা ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে আনসার ভিডিপি ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হাকিম'র সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে না.গঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ও সদস্যদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনামূলক ব্রিফিং প্রদান করেন জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারহানা শান্তা।
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবারের দুর্গাপূজায় প্রথমবারের মতো "শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস" ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই অ্যাপসের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সদস্যরা দুর্ঘটনা, হুমকি বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাপসের মাধ্যমে রিপোর্ট করবেন। এর ফলে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
ইতোমধ্যেই অঠগওঝ (এভিএমআইএস) ও ঝঞউগ (এসটিডিএম) সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত তরুণ আনসার ভিডিপি সদস্যদের নিবন্ধন ও দায়িত্ব বণ্টনের কাজ সফল্ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আনস র ভ ড প উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।