ধামরাইয়ে শাকিল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 27th, September 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে শাকিল হোসেন (২৬) হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, শনিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাকিল। তার আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার সিংশ্রী বাজারের পাশে দক্ষিণ খাগাইল গ্রামে শাকিল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
নেত্রকোণায় বিল থেকে লাশ উদ্ধার
নিহত শাকিল দক্ষিণ খাগাইল গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, খাগাইল গ্রামের মুকুল, রুবেল, স্বপন গংদের সঙ্গে শাকিল হোসেন গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খাগাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নির্মল কুমারের বাড়িতে পূজামণ্ডপ দেখে বাড়ি ফিরছিলেন শাকিল। পথে সিংশ্রী বাজারের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় ডাক-চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মামা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঢাকা/সাব্বির/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে