গাইবান্ধায় ২ দিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
Published: 29th, September 2025 GMT
গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ভেড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন কিশামত বালুয়া ঘাঘট নদীতে দুই দিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে ও মো.
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
খুবিতে নারীর সুরক্ষা-বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার সম্মাননা প্রদা
প্রতিযোগিতায় গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ২০টি নৌকা অংশ নিচ্ছে। খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ১০০ সিসি’র একটি মোটরসাইকেল। এছাড়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পাবে একটি ফ্রিজ ও এলইডি টিভি। বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্য দলগুলোর জন্য থাকছে শান্তনা পুরস্কার।
রবিবার নৌকা বাইচ উদযাপন কমিটির সভাপতি মো. ইউনুছ আলী দুখুর সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতা পূর্ব এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান ও সমাজসেবক প্রকৌশলী শামীম প্রামানিক বাদল।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।