বরিশালের বাকেরগঞ্জে সোহেল খান (৩৫) নামের এক কৃষককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, রবিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার দাবি ভুক্তভোগী নারীর

শুটিংয়ের কথা বলে রিসোর্টে নিয়ে নাট্যকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কবাই ইউনিয়নের উত্তর কবাই গ্রামের মন্নান হাওলাদারের ছেলে শাহিন হাওলাদার, তার ভাই শামিম হাওলাদার এবং এক‌ই গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে শওকত খান।

সোহেল খানের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী শাহীন হাওলাদার তার স্বামীকে লোক দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর রাত ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের সামনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে রাত ১টার সময় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে প্রচারণা চালান।

কেন হত্যা করেছে? জানতে চাইলে সাজেদা বেগম জানান, তরমুজ চাষের জন্য গত বছর তার স্বামীর কাছ থেকে শাহীন হাওলাদার তাদের কয়েক বিঘা জমি লিজ নেন। এ বছর ওই জমি লিজ না দিয়ে তার স্বামী চাষাবাদ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহীন শতাধিক মহিষ দিয়ে চাষকৃত জমির ফসল নষ্ট করে দেন। সেই শত্রুতার জেরে শনিবার রাতে শাহীন পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেন।

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ক রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ