কুমিল্লায় বেবি ট্যাক্সি চালক জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এনামুল হক সরকার রায়ের তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

সিলেটে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা, পরে কারাদণ্ড

কুমিল্লা কারাগারে হাজতির প্রক্সি দিতে এসে যুবক ধরা

এনামুল হক সরকার বলেন, ‘‘যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোবারক হোসেন, আবদুল মালেক ও নুরুল ইসলাম। মামলার শেষ পর্যায়ে এসে তারা পালিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।’’ 

মামলার আসামি আব্দুল মান্নান ও সাইফুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার থেকে মোবারক হোসেন ও আবদুল মালেক ময়নামতি দেবপুর যাওয়ার কথা বলে বেবি ট্যাক্সি ওঠেন। পথে পদুয়ার বাজারে তাদের সঙ্গে নুরুল ইসলাম যোগ দেন। পরে দেবপুর এলাকার বিন্দিয়ার চর ব্রিজের কাছে চালক জসিম উদ্দিনকে হত্যা করে ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে তার ট্যাক্সি ছিনতাই করেন তারা। 

ঘটনার পর দিন বুড়িচং থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন থানার এএসআই কাজী মাছুমুর রহমান। পুলিশ আসামি মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আব্দুল মান্নানের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া ট্যাক্সি উদ্ধার করে। ২০০৯ সালে মামলাটি কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে নথিভুক্ত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ