নিষেধাজ্ঞার খবরে হাঁকডাকে মুখর চাঁদপুরে ইলিশের বাজার
Published: 3rd, October 2025 GMT
ইলিশকে নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই বিধি-নিষেধ। এ সময় মাছ আহরণ, বিপণন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে চাঁদপুরের মাছের আড়তগুলো হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে। মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চাঁদপুর শহরের বড়ষ্টেশন মাছঘাটসহ আশপাশের বাজারগুলোতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা জানান, আগামী ২২দিন মাছ আসবে না। বরফ কল সব বন্ধ থাকবে। এ কারণে দাম যাই হোক সাধ্যমতো ইলিশ কিনে রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের অভিযোগ, মাছের চেয়ে ক্রেতা বেশি হওয়ায় লাগামহীন দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা ।
রফিক নামে এক ইলিশ ক্রেতা বলেন, “আমি চরভৈরবী, আনন্দ বাজার, আখনের হাটসহ কয়েকটি আড়তে গিয়ে দেখেছি, পদ্মা-মেঘনার ইলিশ একেবারেই নেই। যা আছে তার দাম নাগালের বাইরে। এখন বড়ষ্টেশনে এসে হাতিয়া, রামগতির ছোট সাইজের ইলিশ দেখছি। এগুলোর দাম অনেক হওয়ায় নিতে পারছি না। শুধু ইলিশই নয়, বরং ইলিশের ডিমের দামও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাই ইলিশ বা তার ডিম কেনা হচ্ছে না।”
হরিণা ঘাটের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, “গত কয়েকদিন ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি (২০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ২ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত ওজনের প্রতিকেজি পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকায়।”
হরিণা মাছ ঘাটের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, “এবার মৌসুমে কম-বেশি ইলিশ পাওয়া গেছে। তাজা ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমেনি। বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা দেশজুড়ে। যারা অনলাইনে ইলিশ বিক্রি করেন তাদের অনেকে এখান থেকে ইলিশ নিতে ভিড় জমিয়েছেন।”
চাঁদপুর সদরের জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, “চলতি বছরে জাটকা রক্ষায় প্রশাসন কঠোর ছিল। ফলে জেলেরা বড় সাইজের ইলিশ পাচ্ছেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার খবরে বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি রাখার যে অভিযোগ উঠেছে তা তদারকি করা হবে।”
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার খবরে হাঁকডাকে মুখর চাঁদপুরে ইলিশের বাজার
ইলিশকে নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই বিধি-নিষেধ। এ সময় মাছ আহরণ, বিপণন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে চাঁদপুরের মাছের আড়তগুলো হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে। মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চাঁদপুর শহরের বড়ষ্টেশন মাছঘাটসহ আশপাশের বাজারগুলোতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা জানান, আগামী ২২দিন মাছ আসবে না। বরফ কল সব বন্ধ থাকবে। এ কারণে দাম যাই হোক সাধ্যমতো ইলিশ কিনে রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের অভিযোগ, মাছের চেয়ে ক্রেতা বেশি হওয়ায় লাগামহীন দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা ।
রফিক নামে এক ইলিশ ক্রেতা বলেন, “আমি চরভৈরবী, আনন্দ বাজার, আখনের হাটসহ কয়েকটি আড়তে গিয়ে দেখেছি, পদ্মা-মেঘনার ইলিশ একেবারেই নেই। যা আছে তার দাম নাগালের বাইরে। এখন বড়ষ্টেশনে এসে হাতিয়া, রামগতির ছোট সাইজের ইলিশ দেখছি। এগুলোর দাম অনেক হওয়ায় নিতে পারছি না। শুধু ইলিশই নয়, বরং ইলিশের ডিমের দামও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাই ইলিশ বা তার ডিম কেনা হচ্ছে না।”
হরিণা ঘাটের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, “গত কয়েকদিন ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি (২০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ২ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত ওজনের প্রতিকেজি পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকায়।”
হরিণা মাছ ঘাটের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, “এবার মৌসুমে কম-বেশি ইলিশ পাওয়া গেছে। তাজা ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমেনি। বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা দেশজুড়ে। যারা অনলাইনে ইলিশ বিক্রি করেন তাদের অনেকে এখান থেকে ইলিশ নিতে ভিড় জমিয়েছেন।”
চাঁদপুর সদরের জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, “চলতি বছরে জাটকা রক্ষায় প্রশাসন কঠোর ছিল। ফলে জেলেরা বড় সাইজের ইলিশ পাচ্ছেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার খবরে বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি রাখার যে অভিযোগ উঠেছে তা তদারকি করা হবে।”
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ