চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ইলিয়াস পেট্রোলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম আবদুল খালেক (৩০)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মাইলের মাথা এলাকায়। তবে তিনি ইলিয়াস পেট্রোলপাম্প এলাকার মোল্লাপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের একটি ঢেউটিন কারখানায় কাজ করতেন তিনি।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা মো.

নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ইলিয়াস পেট্রলপাম্প এলাকার একটি দোকান থেকে পান কিনে সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন খালেক। এ সময় অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা বেপরোয়া গতির বাস খালেককে ধাক্কা দেয়। খালেক সড়ক থেকে ছিটকে অনেক দূরে গিয়ে পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে খালেককে হাসপাতালে নিয়ে যান।  

সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ