যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন: সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু ট্রাম্প প্রশাসনের
Published: 11th, October 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট মন্ত্রণালয়ের পরিচালক রাসেল ভট শুক্রবার সকালে সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ঘোষণা করেন, ‘ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
‘ভাইস প্রিন্সিপাল’ তারকা মারা গেছেন
তার দপ্তরের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এই ছাঁটাই ‘বড় পরিসরে’ হচ্ছে। পরে শুক্রবার বিকেলে প্রশাসন জানায়, সাতটি সংস্থায় চার হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, সরকার কর্মী ছাঁটাইয়ের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে তাদের আগাম নোটিশ দিতে বাধ্য। রাসেল ভটের পোস্টের পর ট্রেজারি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ নিশ্চিত করে, তারা কর্মীদের ছাঁটাই সংক্রান্ত নোটিশ দিচ্ছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগও জানায়, তাদের সাইবারসিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সিতে ছাঁটাই হবে। যদিও অনেক কর্মীকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িস (এএফজিই) ও এএফএল-সিআইও দুটি বড় শ্রমিক ইউনিয়ন। তারা রাসেল ভটের এই পরিকল্পনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছে।
এএফজিই সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি অচলাবস্থাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশজুড়ে হাজারো কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করছে, যারা জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে আসছেন- এটি লজ্জাজনক।
এই ছাঁটাই পদক্ষেপকে অভূতপূর্ব বলা হচ্ছে। অতীতে সরকারি অচলাবস্থায় কর্মীরা বেতন ছাড়া ছুটিতে গেলেও সরকার পুনরায় চালু হলে তারা বকেয়া বেতন পেতেন। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান শাটডাউন শুরু হয়েছে ১০ দিন আগে, যখন কংগ্রেস সদস্যরা সরকারি তহবিল বাড়ানোর কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
রিপাবলিকান সিনেটর জন থুন বলেন, তারা (হোয়াইট হাউজ) ১০ দিন অপেক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কোন খাতে ব্যয় অগ্রাধিকার পাবে সেটা নির্ধারণ করতে।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ট্রাম্প ও রাসেল ভটের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ করেছেন। ডেমোক্রেটরা রিপাবলিকান ব্যয়ের প্রস্তাবে ভোট দিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ তাতে স্বাস্থ্যবিমার খরচ কমাতে সাহায্যকারী করছাড় নবায়ন এবং মেডিকেইড-এর কাটছাঁট প্রত্যাহারের কোনো ব্যবস্থা নেই।
রিপাবলিকানরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ডেমোক্রেটরাই সরকার বন্ধের জন্য দায়ী এবং এর ফলস্বরূপ সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণ তারাই।
সরকারি অচলাবস্থায় (শাটডাউন) অত্যাবশ্যক নন এমন ফেডারেল কর্মীদের বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে এর প্রভাব পড়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর ওপর, যা ফেডারেল কর্মীবাহিনীর প্রায় ৪০ ভাগ। অতীতে বকেয়া বেতন নিশ্চিত থাকলেও এবার ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তা হয়তো দেওয়া হবে না।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র কর ছ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম
পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।
এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।