যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট মন্ত্রণালয়ের পরিচালক রাসেল ভট শুক্রবার সকালে সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ঘোষণা করেন, ‘ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

‘ভাইস প্রিন্সিপাল’ তারকা মারা গেছেন

তার দপ্তরের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এই ছাঁটাই ‘বড় পরিসরে’ হচ্ছে। পরে শুক্রবার বিকেলে প্রশাসন জানায়, সাতটি সংস্থায় চার হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, সরকার কর্মী ছাঁটাইয়ের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে তাদের আগাম নোটিশ দিতে বাধ্য। রাসেল ভটের পোস্টের পর ট্রেজারি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ নিশ্চিত করে, তারা কর্মীদের ছাঁটাই সংক্রান্ত নোটিশ দিচ্ছে। 

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগও জানায়, তাদের সাইবারসিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সিতে ছাঁটাই হবে। যদিও অনেক কর্মীকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িস (এএফজিই) ও এএফএল-সিআইও দুটি বড় শ্রমিক ইউনিয়ন। তারা রাসেল ভটের এই পরিকল্পনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছে।

এএফজিই সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি অচলাবস্থাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশজুড়ে হাজারো কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করছে, যারা জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে আসছেন- এটি লজ্জাজনক।

এই ছাঁটাই পদক্ষেপকে অভূতপূর্ব বলা হচ্ছে। অতীতে সরকারি অচলাবস্থায় কর্মীরা বেতন ছাড়া ছুটিতে গেলেও সরকার পুনরায় চালু হলে তারা বকেয়া বেতন পেতেন। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান শাটডাউন শুরু হয়েছে ১০ দিন আগে, যখন কংগ্রেস সদস্যরা সরকারি তহবিল বাড়ানোর কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। 

রিপাবলিকান সিনেটর জন থুন বলেন, তারা (হোয়াইট হাউজ) ১০ দিন অপেক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কোন খাতে ব্যয় অগ্রাধিকার পাবে সেটা নির্ধারণ করতে। 

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ট্রাম্প ও রাসেল ভটের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ করেছেন। ডেমোক্রেটরা রিপাবলিকান ব্যয়ের প্রস্তাবে ভোট দিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ তাতে স্বাস্থ্যবিমার খরচ কমাতে সাহায্যকারী করছাড় নবায়ন এবং মেডিকেইড-এর কাটছাঁট প্রত্যাহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। 

রিপাবলিকানরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ডেমোক্রেটরাই সরকার বন্ধের জন্য দায়ী এবং এর ফলস্বরূপ সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণ তারাই।

সরকারি অচলাবস্থায় (শাটডাউন) অত্যাবশ্যক নন এমন ফেডারেল কর্মীদের বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে এর প্রভাব পড়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর ওপর, যা ফেডারেল কর্মীবাহিনীর প্রায় ৪০ ভাগ। অতীতে বকেয়া বেতন নিশ্চিত থাকলেও এবার ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তা হয়তো দেওয়া হবে না।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র কর ছ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন: সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু ট্রাম্প প্রশাসনের

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট মন্ত্রণালয়ের পরিচালক রাসেল ভট শুক্রবার সকালে সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ঘোষণা করেন, ‘ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

‘ভাইস প্রিন্সিপাল’ তারকা মারা গেছেন

তার দপ্তরের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এই ছাঁটাই ‘বড় পরিসরে’ হচ্ছে। পরে শুক্রবার বিকেলে প্রশাসন জানায়, সাতটি সংস্থায় চার হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, সরকার কর্মী ছাঁটাইয়ের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে তাদের আগাম নোটিশ দিতে বাধ্য। রাসেল ভটের পোস্টের পর ট্রেজারি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ নিশ্চিত করে, তারা কর্মীদের ছাঁটাই সংক্রান্ত নোটিশ দিচ্ছে। 

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগও জানায়, তাদের সাইবারসিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সিতে ছাঁটাই হবে। যদিও অনেক কর্মীকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িস (এএফজিই) ও এএফএল-সিআইও দুটি বড় শ্রমিক ইউনিয়ন। তারা রাসেল ভটের এই পরিকল্পনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছে।

এএফজিই সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি অচলাবস্থাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশজুড়ে হাজারো কর্মীকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করছে, যারা জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে আসছেন- এটি লজ্জাজনক।

এই ছাঁটাই পদক্ষেপকে অভূতপূর্ব বলা হচ্ছে। অতীতে সরকারি অচলাবস্থায় কর্মীরা বেতন ছাড়া ছুটিতে গেলেও সরকার পুনরায় চালু হলে তারা বকেয়া বেতন পেতেন। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান শাটডাউন শুরু হয়েছে ১০ দিন আগে, যখন কংগ্রেস সদস্যরা সরকারি তহবিল বাড়ানোর কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। 

রিপাবলিকান সিনেটর জন থুন বলেন, তারা (হোয়াইট হাউজ) ১০ দিন অপেক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কোন খাতে ব্যয় অগ্রাধিকার পাবে সেটা নির্ধারণ করতে। 

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ট্রাম্প ও রাসেল ভটের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ করেছেন। ডেমোক্রেটরা রিপাবলিকান ব্যয়ের প্রস্তাবে ভোট দিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ তাতে স্বাস্থ্যবিমার খরচ কমাতে সাহায্যকারী করছাড় নবায়ন এবং মেডিকেইড-এর কাটছাঁট প্রত্যাহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। 

রিপাবলিকানরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ডেমোক্রেটরাই সরকার বন্ধের জন্য দায়ী এবং এর ফলস্বরূপ সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণ তারাই।

সরকারি অচলাবস্থায় (শাটডাউন) অত্যাবশ্যক নন এমন ফেডারেল কর্মীদের বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে এর প্রভাব পড়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর ওপর, যা ফেডারেল কর্মীবাহিনীর প্রায় ৪০ ভাগ। অতীতে বকেয়া বেতন নিশ্চিত থাকলেও এবার ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তা হয়তো দেওয়া হবে না।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ