মাসুদুজ্জামানকে মহানগর বিএনপি’র পূর্ণ সমর্থন, বিজয়ী করার অঙ্গীকার
Published: 26th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার অঙ্গীকার করেছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেন।
মতবিনিম সভায় নেতাকর্মীরা বলেন,“রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা থাকবেই। সেই প্রতিযোগিতা জয় করেই মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাই ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন। ধানের শীষ আমাদের বিশ্বাস, আস্থা ও আদর্শের প্রতীক।
তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত প্রার্থী। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।দলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং মাসুদ ভাইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”
তারা আরও বলেন,“গত সতেরো বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে থেকে হামলা, মামলা, নির্যাতন ও জুলুম সহ্য করেছি। তৃনমুলের নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন করবে হবে।মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দালাল কিংবা হাইব্রিড নেতাদের আমরা মাসুদ ভাইয়ের পাশে দেখতে চাই না। তাদের কারণে ধানের শীষের অনেক বদনাম হচ্ছে। আমরা চাই তিনি প্রকৃত তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমরা মাসুদ ভাইয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে যাব, সমর্থন চাইব এবং ইনশাআল্লাহ ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব।”
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,শাহাদুল্লাহ মুকুল,আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা,মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র মন ন ত প র র থ নগর ব এনপ র ন ত কর ম র ল ইসল ম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ‘চোর’ সন্দেহে নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মো. পারভেজ (৩০) নামের এক যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পরিবারের দাবি, পারভেজকে চোর আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ২৪ নভেম্বর ২০২৫এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে উপজেলার সোনাচড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে চুরির অভিযোগে পারভেজকে পেটানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পারভেজ সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার রামনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন।
পারভেজের স্ত্রী খাদিজা আক্তার অভিযোগ করেন, গতকাল ভোরে কয়েকজন মিলে তাঁর স্বামীকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। পারভেজ নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন, চুরির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।
পারভেজের প্রতিবেশী নাজমা আক্তার বলেন, পারভেজকে কখনো খারাপ কাজে দেখেননি। কেউ অপরাধী হলেও এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা যায় না।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ দাফনের পর পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি জানান, পারভেজের বিরুদ্ধে মাদকের ছয়টি মামলা আছে। ওই দিন কী কারণে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হলো-তা এখনো পরিষ্কার নয়। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।