সিদ্ধিরগঞ্জে মো. তাকবির (১৮) নামের এক তরুণকে অপহরণ করে দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে অপগরণকরীরা। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের ওয়াদা কলোনি বউবাজার এলাকার একটি চারতলা পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।

পরে পুলিশকে খবর দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মো.

তাকবির ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে।

তাকবিরের বড় ভাই হৃদয় জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে তাকবির নিখোঁজ ছিলেন। তার মুঠোফোন চালু থাকলেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। একটি অচেনা ফোন নম্বর থেকে আমাদের কাছে ফোন করে আমার ভাইকে আটকে রাখার কথা জানানো হয়।

তারা ভাইয়ের মুক্তির জন্য ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমরা তাদের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পরই খবর আসে আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভিকটিমকে গত রাতেই হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটি ফোন নম্বরের কথা উল্লেখ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অপহরণ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে চার জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন

সুন্দরবনের লোনাজলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে চার জেলে অপহরণের স্বীকার হয়েছেন। তাঁদের ছাড়তে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বনদস্যুরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের আঠারবেকি এলাকার একটি খালে কাকড়া ধরার সময় তাঁদের অপহরণ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, দস্যু আলিম বাহিনীর সদস্যরাই জেলেদের অপহরণ করেন। অপহৃত জেলেদের মধ্যে একজন মুক্তিপণ দিয়ে গতকাল রোববার বাড়ি ফিরেছেন।

শ্যামনগর উপজেলার বড়ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ গাজী বলেন, তিনি ২০ নভেম্বর কৈখালী স্টেশন থেকে অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে নিজের নৌকায় মরগাং গ্রামের ইব্রাহিম শেখ ও আনিস শেখকে নিয়ে বনে প্রবেশ করেন। একইভাবে পাস নিয়ে মরগাং গ্রামের হাসান শেখ ও বড়ভেটখালী গ্রামের আবদুল গাজীও বনে ঢোকেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আঠারবেকি ভাইজো খালে কাঁকড়া ধরার সময় দস্যুরা তাঁদের নৌকা আটকে দেয়। তিনটি নৌকা থেকে তারা চারজনকে তুলে নেয়। পরে জানায়, মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দিলে ছাড়া পাওয়া যাবে। গতকাল ভোরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের পর দস্যুরা হাসান শেখকে একটি নৌকায় তুলে দেয়। সকাল ৯টার দিকে তিনি বাড়ি পৌঁছান।

শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাসেম মোরেল জানান, সুন্দরবনে দস্যুতা আবারও বেড়ে উঠেছে। ভেটখালী ও মরগাং গ্রামের বেশ কয়েকজন জেলে সম্প্রতি আঠারবেকি এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়েছেন।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হক বলেন, ‘জেলেরা আমাদের কিছুই জানায় না। মহাজন বা পরিবারের লোকজন মুক্তিপণ দিয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে আনে, পরে আমরা খবর পাই। দুর্গম বনাঞ্চলে দ্রুত অভিযান চালানোও কঠিন। বনদস্যু দমনে একটি স্মার্ট পেট্রোল টিম ও দুটি বিশেষ দল মাঠে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে তরুণ অপহরণ, দাবিকৃত মুক্তিপ না পেয়ে হত্যা
  • স্কুল থেকে অপহরণের পর মুক্তি পেল ২৪ নাইজেরিয়ান ছাত্রী
  • সন্তানদের নিয়ে দ্বন্দ্ব, গ্রেপ্তার আতঙ্কে দুবাইয়ের শাসক পরিবারের সাবেক বউ
  • কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্র অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
  • কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্রকে অপহরণ, লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • নাইজেরিয়ায় অপহৃত ৫০ শিক্ষার্থী পালিয়ে ফিরলো পরিবারে
  • সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে চার জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন