মাঠের এক কোণে আগুনে পোড়া ধানের স্তূপ। তার পাশে হাঁটু গেড়ে বসে বুক চাপড়াচ্ছেন কৃষক সোলেমান মুন্সী। সারা মৌসুম পরিশ্রম করে বর্গা নেওয়া ৬০ শতক জমিতে ধান ফলিয়েছিলেন। ধান কেটে শুকানোর জন্য স্তূপ করে রেখেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই ধানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সোলেমান মুন্সী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘হায়রে ধান, আমার মেহনতের ধান।’

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোলেমান মুন্সী বুঝতে পারছেন না, কারা কেন তাঁর এত বড় সর্বনাশ করল। এ ঘটনায় গ্রামের মানুষও হতবাক। খবর পেয়ে ফুলগাজী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কৃষক সোলেমান মুন্সী জানান, ‘আমি বর্গা নিয়ে জমিতে ধান চাষ করি। ছয় মাস শ্রম দিয়েছিলাম। ফসলও ভালো হয়েছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা সব ছাই করে দিল। প্রায় ৬০ শতক জমির ধান ছিল পুরো মৌসুমের একমাত্র সম্বল। আমি এখন নিঃস্ব। যারা আমার এত বড় ক্ষতি করেছে, আমি তাদের শাস্তির দাবি জানাই। দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

পুলিশ জানায়, উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের বাজারের পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রংপুর এলাকার বাসিন্দা কৃষক সোলেমান মুন্সী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নুরপুর গ্রামে বসবাস করেন। চলতি মৌসুমে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আবুল কালামের জমি বর্গা নিয়ে আমন ধানের চাষ করেছিলেন। এবার ভালো ফলন হয়েছিল। গতকাল দিনের বেলায় তিনি প্রায় ৬০ শতক জমির ধান কেটে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন। আজ বুধবার সকালে মাঠে গিয়ে দেখেন, তাঁর সব ধান দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.

খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। ওই কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এমন ঘটনা পরিকল্পিত কি না, তা তদন্ত হওয়া জরুরি।

এ ঘটনায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপলু বড়ুয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ঘটনাটিকে ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম। তিনি ঘটনাস্থলেও গিয়েছেন। ইউএনও বলেন, এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষককে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাল হওয়ার পর আপত্তিকর বার্তা পাচ্ছি...

পরনে নীল শাড়ি, হাতাকাটা ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট টিপ—সপ্তাহ তিনেক ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারাঠি ও হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী গিরিজা ওকের ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবিটি ‘ভাইরাল’ হওয়ার সুবাদে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তিনি, তাঁকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বলা হচ্ছে, তিনি ভারতের ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’; সিডনি সুইনি কিংবা মনিকা বেলুচ্চির সঙ্গেও তাঁর তুলনা টানছেন কেউ কেউ।

দুই দশকের ক্যারিয়ার গিরিজার

সম্পর্কিত নিবন্ধ