৪৬ মাসে কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশের কী ভালো, কী মন্দ
Published: 13th, October 2025 GMT
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে আছেন হাভিয়ের কাবরেরা। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তিনি এখন তৃতীয় দফা দায়িত্ব পালন করছেন, যা শেষ হওয়ার কথা আগামী বছরের ৩১ মার্চ। তবে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯ অক্টোবর ঢাকায় এশিয়ান কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪-৩ গোলে হারের পর একাদশ নির্বাচন ও কৌশল নিয়ে আবারও সমালোচনার তিরবিদ্ধ হচ্ছেন কাবরেরা। এখন তাঁর ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে হংকংয়ের বিপক্ষে আগামীকাল এশিয়ান কাপের ফিরতি ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
কাবরেরার ৪৬ মাসে বাংলাদেশ জাতীয় দল ম্যাচ খেলেছে ৩৪টি। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে কাবরেরাই সবচেয়ে বেশি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। জয়ের হার ২৬.
কাবরেরার সময়ে কোনো ট্রফি জেতেনি বাংলাদেশ, পায়নি চমক জাগানিয়া কোনো জয়। ৯টি জয়ের মধ্যে ৩টি করে জয় এসেছে মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে। অন্য ৩টি জয়ের ২টি কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ও ১টি অপেশাদার দল সেশেলসের বিপক্ষে। ৯ জয়ের মাত্র ২টি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, অন্যটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে–অফে। বাকিগুলো প্রীতি ম্যাচ।
হংকং ম্যাচের পর বেশ কিছু প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছেন কাবরেরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক বর র র
এছাড়াও পড়ুন:
বোলার নয়, বল দেখে খেলতে বললেন মুশতাক
মাঠের ক্রিকেটে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরছে বলে মনে করছেন দলের কোচ মুশতাক আহমেদ। নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে ভালো করতেই হবে, এজন্য বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করছেন ব্যাটসম্যানরা। বলের মেরিট না বুঝেই এলোমেলো শট খেলছেন। তাতে ডেকে আনছেন নিজের বিপদ৷ বিপদে ফেলছেন দলকেও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারেই যাচ্ছেতাই হয়েছে। দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রশিদ খান। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ধ্বংসিয়ে দলকে সিরিজ জেতান রশিদ।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
শারমিন-শর্নার ফিফটিতে ২৩৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
লেগ স্পিনারকে বাড়তি মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলাদেশ হিতে বিপরীত করেছে বলে মনে করছেন মুশতাক, ‘‘আমার মনে হয় তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। সে বলের বড় স্পিনার নয়। কিন্তু সে খুবই অভিজ্ঞ। সে উইকেট শিকারি। তার লাইন এবং লেন্থ খুবই ধারাবাহিক। আমার মনে হয় আমাদের মাঝে মাঝে বল খেলতে হবে, বোলারকে নয়। আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে।’’
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটসম্যানকে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার, ‘‘যদি তোমার মেজাজ ভালো থাকে, তাহলে তুমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে পারো। রশিদ আফগানিস্তানের হয়ে অনেক বছর ধরেই খুবই সফল, কিন্তু [একই সাথে] বাংলাদেশি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের জানা উচিত কিভাবে বল খেলতে হয়, বোলারদের নয়।’’
‘‘আমি মনে করি বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটিং ঠিক করতে হবে। আমাদের খুব দ্রুত এই ধরণের স্পিনারদের খেলার জন্য খুব সক্রিয় হতে হবে। আমি মনে করি যদি আমরা মাঝের ওভারগুলিতে তা করতে পারি, যদি আমরা সেই কন্ডিশনে স্পিন ভালোভাবে খেলা শুরু করতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ যেকোনো দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
এ বছর মাঝের ওভারগুলিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বেশ দুর্বল। তাদের গড় ২১.৮৬, আগের দুই ক্যালেন্ডার বছরে ছিল ৩৫.১০ ছিল। ২১.৮৬ হলো ২০০৭ সালের পর তাদের সর্বনিম্ন গড়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মুশতাক বলেছেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের বিরুদ্ধে আপনার আরও ভালো কৌশলি হতে হবে, কীভাবে ভালো বলে সিঙ্গেলস পেতে হয়। যদি আপনি স্ট্রাইক ঘোরাতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় এটি আপনার চেয়ে বোলারদের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করবে। আপনি প্রচুর ডট বল খেলেন এবং তারপরে আপনাকে একটি বড় শট খেলতে হয়, তখনই আপনি উইকেট হারাতে শুরু করেন। একজন স্পিনার হিসেবে আমি জানি যে যারা সহজেই রান করে, সিঙ্গেল এবং ডাবল, তাদের উপর আরও বেশি চাপ পড়ে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল