মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা জানিয়েছেন, তার পদত্যাগের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের পর তিনি ‘নিরাপদ স্থানে’ আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ফেসবুকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে, ৫১ বছর বয়সী রাজোয়েলিনা বলেছেন, “একদল সামরিক কর্মী এবং রাজনীতিবিদ আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।”

আন্দ্রে রাজোয়েলিনা তার অবস্থান প্রকাশ করেননি। তবে এর আগে অসমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তিনি একটি ফরাসি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

গত ১৫ দিন ধরে মাদাগাস্কারে তরুণরা বিক্ষোভ করছে। তারা আন্দ্রে রাজোয়েলিনাকে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছে।

‘জেন জি মাদা’ নামে অভিহিত তরুণ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার রাজোয়েলিনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি তার সরকারকে বরখাস্ত করেছেন এবং অন্যান্য ছাড়ও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

বুধবার থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে না এবং সপ্তাহান্তে রাজোয়েলিনার অফিস জানিয়েছে, তাকে ক্ষমতা থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সোমবার বিশৃঙ্খলার মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে তার ভাষণ বেশ কয়েকবার বিলম্বিত হয়েছিল, কারণ সেনারা ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপে রাষ্ট্রীয় টিভির সদর দপ্তর দখলের হুমকি দিয়েছিল।

অবশেষে ফেসবুক সম্প্রচারে তিনি বলেছেন, “২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমাকে হত্যার চেষ্টা এবং অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। সামরিক কর্মী এবং রাজনীতিবিদদের একটি দল আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আমার জীবন রক্ষার জন্য আমাকে একটি নিরাপদ স্থান খুঁজে বের করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই সমস্যাগুলো সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে, দেশে বলবৎ সংবিধানকে সম্মান করা।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে এক ফ্রেমে মাহি!

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বছর দেড়েক আগে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানান, রাকিব সরকারের সঙ্গে তার দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। এরপর থেকেই দুজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।

বেশ কিছুদিন হলো মাহি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে রাকিব সরকারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবিকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।

ছবিতে মাহিকে তার প্রাক্তন স্বামী রাকিব সরকার এবং সন্তানদের সঙ্গে দেখা গেছে। মাহি নিজেই ছবিটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “মাশাল্লাহ।”

অন্যদিকে একই ছবি পোস্ট করেছেন রাকিব সরকারও। তার ক্যাপশন— “সোয়াইব, সাইয়ারা, ফারিশ ও আমরা এক ফ্রেমে।

এরপর নেটমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে—তবে কি আবারও এক হয়েছেন মাহি ও রাকিব? মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা দিচ্ছেন ভালোবাসার প্রতিক্রিয়া। কেউ লিখেছেন, “আবার সব আগের মতো হয়ে যাক,” কেউ আবার সন্তানসহ পরিবারের ছবিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, মাহি ও রাকিব আবারও এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, তারা আসলে পুরোপুরি আলাদা হননি, তবে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটেছিল।

তবে এ বিষয়ে মাহি বা রাকিব— কেউই মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি মাহি ফেসবুক লাইভে এসে বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছিলেন। পরে রাকিব সরকারও একই তথ্য জানান।
এরপর থেকে মাহি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অনেকের ধারণা, সেখানে স্থায়ী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে রাকিব সরকার দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে তিনি আড়ালে রয়েছেন। 
 

ঢাকা/রাহাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ