একদিন না যেতেই দেশের বাজারে আবারো স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার প্রতি ভরি স্বর্ণে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। নতুন দাম ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন:

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

কিশোরগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে গাছ আলুর আবাদ

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা।

তবে এবার স্বর্ণের দাম বাড়লেও রূপার দাম বাড়েনি। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০৩ টাকা।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

রোমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের কার্যালয় উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু দং ইউ এর সঙ্গে রোমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গঠিত গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার এফএও সদর দপ্তরে তিন নেতা যৌথভাবে অ্যালায়েন্সের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রায় এক দশক আগে প্রেসিডেন্ট লুলার উদ্যোগে প্রস্তাবিত এই গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেশ ব্রাজিল ও বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন নেতা অ্যালায়েন্সের নবনির্মিত কার্যালয়ে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রমের সূচনা করেন। তাঁরা উদ্যোগটিকে বৈশ্বিক ক্ষুধা মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন গাজা ও সুদানে দুর্ভিক্ষ চলছে এবং বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটির বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চলুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি—ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।’

প্রেসিডেন্ট লুলা ও মহাপরিচালক কু দং ইউও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নতুন অংশীদারত্বের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ